E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী শাসকের টুলস ছিলো’

২০২৫ মে ১০ ১৮:৫০:৪৯
‘কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী শাসকের টুলস ছিলো’

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

আজ শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমরা আমাদের সরকারের বিবৃতি দিয়েছি। আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি এ মিটিং।’

শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সেদেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না। আমরা অনেক দিন থেকে দেখছি তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে তারা অনেক ভালো নিউজ করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী শাসকের টুলস ছিলো মন্তব্য করে বলেন, ‘বিগত সময়ে কিছু কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বিরোধীদলের অধিকার কেঁড়ে নিয়েছিলো। অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা চাই আমাদের সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল প্রশংসনীয় হোক। যাতে মিডিয়ার লাভ। কেননা সামনে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তখন স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারবেন। এখনই আপনারা আপনাদের জায়গা গড়ে নেন।

ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কাউকে কোন মামলা দিয়ে হয়রানি করতে বিশ্বাসী না। আমরা কি কোন মামলা দিচ্ছি, মামলা তো দিচ্ছে রাজনৈতিক দল। আমাদের সরকার বলে দিয়েছে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কাউকে কোন হয়রানি করা আমাদের কোন উদ্দেশ্য নয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর সদস্য ও পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন।

এর আগে ‘এসো মিলি প্রাণের টানে, সম্প্রীতির বাঁধনে’ স্লোগানে বিদ্যালয়টির প্রথম পুনর্মিলনী শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ অতিথিরা অনুষ্ঠাস্থলে পৌঁছালে তাদেরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এলাকায় এসেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এলাকার সাধারণ মানুষও এই উৎসবে সামিল হন।

(এসএ/এসপি/মে ১০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test