সবুজ আন্দোলন
বাণিজ্যিক ভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : একদিকে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যদিকে অনিরাপদ আবাসনের কারণে বন্যপ্রাণীদের বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে। গত শতাব্দীতে ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১ প্রজাতির সরীসৃপ ও অনেক প্রজাতির পাখি চিরতরে হারিয়ে গেছে। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে ২৩০ প্রজাতি। মানুষের জীবন চক্রে বন্যপ্রাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মূলত যে সকল কারণে বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে তার অন্যতম কারণ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস, বন উজার করে নগরায়ন, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, মাটি পানি ও বায়ু দূষণ। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতির কারণ হচ্ছে বনের মধ্যে শিল্প কলকারখানায় স্থাপন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিভিন্ন শাস্তির বিধান থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপ খুব বেশি চোখে পড়ে না। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে খুব বেশি তৎপরতা দেখতে পায় না জনগণ যার ফলশ্রুতিতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে জনগণের করণীয় কি তা তারা বুঝতে পারে না। যদিও বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৪ সালে প্রথম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয় পরবর্তীতে ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী নিধন সংক্রান্ত আইন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান অনুযায়ী বন্যপ্রাণী ধরা, মারা, বিক্রি, পরিবহন ও লালন-পালন সম্পন্ন নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অনুযায়ী শিকারের জন্য সর্বনিম্ন কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড এবং সর্বোচ্চ দন্ড হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা জরুরি এবং অর্থদণ্ডের পরিমাণ আরো বহু গুণ বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শনী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে অর্থাৎ দেশের সকল চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে শুধুমাত্র গবেষণা এবং প্রজননের জন্য চিড়িয়াখানা চালু রাখতে হবে।
যদিও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ। দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবন, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বনভূমি, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলা এবং রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অঞ্চল। এর আনুপাতিক হার ধরলে সুন্দরবন বাদে সবুজায়ন রয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। নিয়ন্ত্রণহীন জনসংখ্যার চাপে ক্রমশই বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বনজ সম্পদ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বনভূমির পরিমাণ নেমে আসায় এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে আবহাওয়ায়। বাতাস দূষিত হচ্ছে, ক্ষয় হচ্ছে মাটি। পর্যাপ্ত বনভূমি না থাকায় অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার ২৫৬ একর, যার মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ হেক্টর বনভূমি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৬ একর বনভূমি শিকার হয়েছে জবর দখলের। ক্রমবর্ধমান এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বনভূমি ধ্বংসের কারণে এরই মধ্যে বন্যপ্রাণীর ৩৯টি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ আরো প্রায় ৩০ প্রজাতির অস্তিত্ব মারাত্মক সংকটে রয়েছে, যা ক্রমে বনকেন্দ্রিক জীবনচক্র ও বাস্তুসংস্থানের জন্য অশনি সংকেত।
বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশ আইন, ১৯৯৫ লঙ্ঘন করে নির্বিচারে শিল্পায়ন ও বিভিন্ন শিল্প বিশেষ করে ডায়িং কারখানা ও ট্যানারিগুলোর শিল্পবর্জ্য নদ-নদী, খাল-বিলসহ প্রাকৃতিক উন্মুক্ত জলাধারগুলোয় নিক্ষেপণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক জলাধার বা জলজ জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে নষ্ট করা হচ্ছে। বন ও জলজ বাস্তুসংস্থানের ওপর অভিঘাতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েক দশকে বাংলাদেশে বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি কীটনাশকসহ অজৈব সারের যথেচ্ছ ব্যবহারে মাটির উর্বরাশক্তি রক্ষাকারী প্রাকৃতিক অনুজীবসহ শস্য ও সবজির ওপর নির্ভরশীল খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন পাখি ও প্রাণী আশঙ্কাজনক হারে মরার কারণে মানুষের জীবন ও টেকসই জীবিকার ওপর হুমকি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে দেশের বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বনজ সম্পদের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। আর বাংলাদেশে রয়েছে বনায়নের বিপুল সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হবে।
করণীয়
* দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ,
* বিনামূল্যে বীজ ও চারা সরবরাহ
*নদীর কিনারা ও সড়কের দুপাশে গাছ লাগানো,
* বনভূমির গাছকাটা রোধ,
* অপরিণত গাছ কাটা বন্ধ করা
* বিদেশী প্রজাতির গাছ আমদানি বন্ধ
* সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
*বনাঞ্চল সংরক্ষণে নতুন নতুন জায়গা অধিগ্রহণ এবং পাহাড় কর্তন রোধ করা।
আসুন আমরা সকলেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সর্বস্তরের বনাঞ্চল রক্ষায় জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলি।
আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফিরোজ জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ডক্টর মনিরুল হাসান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রুরাল এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ডক্টর আদিল মুহাম্মদ খান, পরিবেশবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি মাহমুদুর রহমান পাপন, আইডিয়াস'র পরিচালক পরিকল্পনাবিদ রাসেল আহমেদ।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাতৃভূমি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হানিফ মাস্টার, প্রত্যাশার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন শিকদার পাভেল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)’র সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, গণঅধিকার পেশাজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন প্রমূখ।
(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫)
পাঠকের মতামত:
- আগস্টে এলো ২৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
- আগামীকাল আরও ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবির নির্বাচন
- ফরিদপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- নাটোরে প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডা. আমিরুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
- ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রক্রিয়াধীন’
- বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গৌরনদীতে বর্ণাঢ্য র্যালী আলোচনা সভা
- ‘বিএনপি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে’
- বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুবর্ণচরে ব্যাপক প্রস্ততি
- রাজৈরে টাইফয়েড ও টাইফয়েড চিকিৎসা সম্পর্কীয় ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
- জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
- ‘গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’
- অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন সেনাপ্রধান
- ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রয়োজন গণভোট’
- পদ্মার তীরে ‘সাঁঝের মায়া-আই লাভ ঈশ্বরদী’
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে
- বাণিজ্যিক ভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে
- হাইকোর্টের রায় চেম্বারে স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
- ওয়ালটন লিফট এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান
- সুনীল মণ্ডলের জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সামাদ গাজীর লুটপাট অব্যাহত
- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেনারেল ওসমানী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন
- আবারও ফোবানা পুরুস্কার পেলেন বাংলা প্রেস সম্পাদক ছাবেদ সাথী
- এবার কানাডা সুপার সিক্সটি লিগে সাকিব আল হাসান
- ডাকসু নির্বাচন স্থগিত
- সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশী নাগরিককে হস্তান্তর
- ‘গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’
- ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রয়োজন গণভোট’
- বাণিজ্যিক ভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে
- সুনীল মণ্ডলের জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সামাদ গাজীর লুটপাট অব্যাহত
- পদ্মার তীরে ‘সাঁঝের মায়া-আই লাভ ঈশ্বরদী’
- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেনারেল ওসমানী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন
- বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুবর্ণচরে ব্যাপক প্রস্ততি
- মুখভর্তি দাড়ি নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে রুমা বেগম
- পদ্মা নদীর ভরাট বালু বিক্রির অভিযোগে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে বই লিখে তাকে উপহার দিলেন ব্রাজিলের সেকেন্ড লেডি লু
- ঝালকাঠিতে ৩ মামলায় কৃষক লীগ নেতা ও সাবেক পিপি আবদুল মান্নান কারাগারে
- দুরারোগ্য রোগে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছেন উৎপল সরকার
- বুধবার প্রদান করা হবে 'গ্র্যাজুয়েট স্বাধীনতা এওয়ার্ড ২০২৪'
- পান খেতে ব্যস্ত চালক, সড়কেই উল্টে গেল বাস
- ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না
- লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত
- গলাচিপায় রথযাত্রা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণের বারসহ একজন আটক
- সভাপতির বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ
- শুভ জন্মাষ্টমী: সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- আগামীকাল আরও ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ‘গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’
- অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন সেনাপ্রধান
- ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রয়োজন গণভোট’
- বাণিজ্যিক ভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে
- দুপুরে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- নুরকে দেখতে ঢামেকে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা
- সড়কের নিরাপত্তায় কেএসআরএম’র ট্রাফিক সাইন হস্তান্তর
- ভিসা জালিয়াতদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা