E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

সড়ক দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২১ এলাকা শনাক্ত

২০২৫ অক্টোবর ২৬ ০০:৩৮:২৬
সড়ক দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২১ এলাকা শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ বিশ্লেষণে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ২১টি এলাকাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং ১৭৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ উপজেলা ও থানা চিহ্নিত করা হয়েছে।

সংগঠনটি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের ৩৭ হাজার সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) এটি প্রকাশ করা হয়।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
ঢাকার মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও ধামরাই, গাজীপুরের সদর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর, টাঙ্গাইলের কালিহাতী, মাদারীপুরের শিবচর ও টেকেরহাট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, চট্টগ্রামের মিরেরসরাই, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারের চকরিয়া, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, বরিশালের গৌরনদী, হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল, ভালুকা।

অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ
এ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার সাভার ও কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ সদর ও সিঙ্গাইর, গাজীপুরের টঙ্গী, টাঙ্গাইলের মধুপুর, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও বন্দর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, নরসিংদীর রায়পুরা ও পলাশ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, শরীয়তপুরের জাজিরা, ফরিদপুর সদর, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, রাজবাড়ী সদর, নওগাঁর মান্দা, যশোরের অভয়নগর, খুলনার ডুমুরিয়া ইত্যাদি।

দুর্ঘটনাপ্রবণ
এ তালিকায় রয়েছে দেশের প্রায় সব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসংলগ্ন উপজেলা। ঢাকার নবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইলের বাসাইল ও সখীপুর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, রাজবাড়ীর পাংশা, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ, রাজশাহীর গোদাগাড়ি, নওগাঁর পত্নীতলা, খুলনার পাইকগাছা, যশোরের মনিরামপুর, রংপুরের বদরগঞ্জ, বরিশালের বাবুগঞ্জ, পটুয়াখালীর গলাচিপা, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জসহ মোট ১৭৫টি এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব এলাকার বাইরেও দুর্ঘটনা ঘটছে, তবে তা নিয়মিত নয়। যেসব এলাকায় ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে তা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
সড়কের নকশা ও অবকাঠামোগত ত্রুটি।
সড়ক নিরাপত্তা উপকরণের (সাইন, মার্কিং, বিভাজক ইত্যাদি) অভাব।
যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে জনবল ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।
একই সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।
চালকদের দক্ষতার অভাব।
সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকার জনবসতির অসচেতনতা।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা ও গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার পরিসরও বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচিত একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test