E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তায় সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

২০১৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ১২:৪৭:৫১
স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তায় সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা ও সহিংস চরমপন্থা দক্ষিণের টেকসই উন্নয়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে। আর এ কারণেই এই সহযোগিতা প্রয়োজন। সামগ্রিক সম্মৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন আর মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে দক্ষিণ দক্ষিণ ও তিন-মহাদেশীয় সহযোগিতার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতা (সাউথ সাউথ কোঅপারেশন) বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মাত্র গতকালই আমরা নতুন উন্নয়ন এজেন্ডা নিয়েছি। দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য এই এজেন্ডা অনেক বেশি সংশ্লিষ্ট। কারণ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও আমাদের দেশগুলো এখনো অসমতা, অশিক্ষা ও অনুন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশগুলো আকারে, শক্তিতে বা অবস্থানে ছোটবড় হতে পারে, কিন্তু উন্নয়ন এজেন্ডা ও ভিশন এক। আর সেটা মনে রেখেই এই সহযোগিতার উদ্যোগ। এ বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেবারও আমরা দক্ষিণের মধ্যেই দক্ষিণ দক্ষিণ উদ্যোগগুলোতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ওপর জোর দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, দক্ষিণের আঞ্চলিক সহযোগিতার মূলে রয়েছে আন্তসীমান্ত সংযোগ। পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতার দিক রয়েছে। ব্রিকস ব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক স্থাপনকে ইতিবাচক অগ্রগতি বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা, মৎস্য উৎপাদন, সাধারণের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দেওয়া আর উন্নয়নের জন্য মূলধারায় অভিবাসনে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। দক্ষিণ দক্ষিণের অন্য সকল দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ তার এসব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রস্তুত রয়েছে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর২৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test