E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

‘অর্থনীতির চালিকা শক্তির প্রধান উৎস কৃষি’

২০১৫ অক্টোবর ১৬ ১৭:০৬:৩০
‘অর্থনীতির চালিকা শক্তির প্রধান উৎস কৃষি’

স্টাফ রিপোর্টার : পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনুবীক্ষণ যন্ত্র লাগিয়েও আর গরিব লোক (দরিদ্র) খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৫ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটের ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্স কাউন্সিল’ (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি বিষয়ক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে হতদরিদ্রের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। পরের ১০ বছর দারিদ্রতা জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর দেশে ৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন টন কৃষিজ পণ্য উৎপাদিত হয়েছে। চলতি বছরে ৩৫ মিলিয়ন টন। দেশে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তারচেয়ে খাদ্য উৎপাদন বেশি।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চালিকা শক্তির প্রধান উৎস কৃষি। সম্প্রতি চীন ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো অন্য বেশ কয়েকটি দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে কমেছে সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে’।

বর্তমান সরকার পরিকল্পনা মাফিক দারিদ্রতা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ২৩ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। আগামী ২০১০ সাল নাগাদ তা কমিয়ে ১৬ শতাংশে আনা হবে। এই সময়ের মধ্যে দরিদ্র মানুষকে মেইনস্ট্রিমে সংযুক্ত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশ যেখানে ২০৩০ সালকে দারিদ্র বিমোচনের টার্গেট হিসেবে নিয়েছে সেখানে বাংলাদেশ এই সময়ের মধ্যে দারিদ্রের হার জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে। তখন বাংলাদেশে অনুবীক্ষণ যন্ত্র লাগিয়েও আর দরিদ্র লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না ।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমিও কৃষক, আমি কৃষকেরই সন্তান। কৃষি ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, সেজন্য কৃষিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েই সরকার পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন , জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (ফাও) সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, নাছিরুজ্জামান, বেগম ভিকারুন্নেসা, সিডের ডিজি আনোয়ার হোসেন, ডিজি (এক্সটেনশন) হামিদুর রহমান, বিএডিসি’র এমডি (সিড) রওনক মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. মো. শামসুদ্দীন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test