E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

আধুনিক-শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

২০১৬ মে ৩০ ১৭:২৮:০২
আধুনিক-শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন আরও উন্নত এবং শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে গণভবনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চং ওয়ানকুয়ান শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষা‍ৎ করতে এলে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যয়ের কথা সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে চাই। এটা শুধু যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন নয়, এটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন।

চীনকে বাংলাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেইজিং অনেক অবদান রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুই দেশের মধ্যে কৃষি বিষয়ক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর মাধ্যমে উভয় দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী লাভবান হতে পারেন।

বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পকে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বন্ধন খুবই চমৎকার, আশা করি এ সর্ম্পক আগামীতে আরও গভীর হবে।

আঞ্চলিক কানেকটিভির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া ও মিয়ানমারের ইকোনোমিক করিডোর চার জাতির সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন দুয়ার খুলে দেবে।

এ সময় চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মাধ্যমে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির প্রশংসা করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চং ওয়ানকুয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে।

বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে চং ওয়ানকুয়ান বলেন বলেন, কীভাবে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

সামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চীনা মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সর্ম্পক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও সামরিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করে আসছে, আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতায় অবদান রাখছে।

সাক্ষাতকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়্যল, প্রধানমন্ত্রী কার‌্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্তি চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিয়াং কিয়াং।

(ওএস/এএস/মে ৩০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test