E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

ধর্মঘট সংকট: সমাধানের পথ খুঁজছে সরকার

২০১৭ মার্চ ০১ ১২:৫৪:৫৮
ধর্মঘট সংকট: সমাধানের পথ খুঁজছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের রায়ের প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকদের দেশব্যাপী ধর্মঘটের ফলে জনভোগান্তির অবসানে ‘বুধবারের মধ্যেই’ সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর এ কথা বলেন কাদের।

আধাঘণ্টার বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ধর্মঘটের ফলে জনদুর্ভোগ হচ্ছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ কারণেই এই বৈঠক। আমরা কথা বলেছি। তারা (পরিবহন মালিক সমিতি) আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে আজকের মধ্যেই একটি সমাধান খুঁজে বের করবেন।”

বৈঠকের পর খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ দুপুরে আমার কার্যালয়ে (মতিঝিলে) বসব। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আসবেন। আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।”

সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় দুই চালকের সাজার রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু হয়।

মঙ্গলবারের মত বুধবারও কোনো জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছাড়ছেন না চালকরা। রাজধানী ঢাকায় নগর পরিবহনের বাসও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের বৈধতা চ‌্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনও হয়েছে।

শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটের কর্মসূচির বিষয়টি সাধারণ শ্রমিকদের বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি আব্দুল ওদুদ নয়ন মঙ্গলবার বলেন, শ্রমিকদের মানানো যাচ্ছে না।

মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহও মঙ্গলবার বলেছিলেন, শ্রমিকদের কর্মসূচি শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।

অন্যদিকে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এই কর্মসূচি হওয়ায় মঙ্গলবার ধর্মঘটীদের সঙ্গে কোনো আলোচনার উদ‌্যোগ নেয়নি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়।

বুধবার বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীদের জিম্মি করে আদালতের রায় বদলানোর কৌশল নিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। এবার এই কৌশল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এল সরকারের একজন মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বসে। আর এই সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী এবং সরকার-সমর্থক পরিবহনমালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।”

দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ ফোরাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বাসায় ওই বৈঠকে বাস ও ট্রাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ প্রায় ৫০ জন মালিক ও শ্রমিক নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে প্রথম আলোর তথ‌্য।

বুধবার সকালে সাংবাদিকরা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের কার্যালয়ে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে কথা না বলে ওবায়দুল কাদেরের দপ্তরে চলে যান। পরে মসিউর রহমান রাঙ্গাও ওই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এটা নিম্ন আদালতের রায়। এখানে আপিলের সুযোগ রয়েছে। সুতরাং শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আদালতে যেতে পারেন। আমরা সেটাই বলেছি।”

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৩ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test