বাড্ডায় শিশু ধর্ষণ : শিপনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শিপন (৩৫) একজন পেশাদার অপরাধী। খাবারের লোভ দেখিয়ে রবিবার ওই শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একটি ডাকাতি মামলায় পাঁচ বছর জেল খেটেছে শিপন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এসব কথা বলেন।

গতকাল (রবিবার) বিকেলে ধর্ষণ ও হত্যার পর রাতেই তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি টিম। এ সময় শিপনের বাসা থেকে রক্তমাখা তোয়ালে আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। পরে রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানান।

আব্দুল বাতেন বলেন, তানহা বাবা-মার সঙ্গে বাড্ডার আদর্শনগরের মিনহাজ সাহেবের বাসায় ভাড়া বাসায় থাকত। রোববার পার্শ্ববর্তী আমিন সাহেবের বাসায় জাহেদা আক্তার কলি নামে নতুন ভাড়াটিয়া আসে। তানহা জাহেদা আক্তার কলি আন্টিকে ডাকে এবং তার বাসায় যায়। গ্রেফতার শিপন স্ত্রীসহ ওই বাসার ভিন্ন একটি রুমে ভাড়া থাকে।

ওই শিশুর মা’কে বলে কলি আন্টির বাসায় বেড়াতে যায়। ফেরার পথে শিপন ভাত খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধরে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে।

শিপনকে জিজ্ঞাসাবাদকারী এক কর্মকর্তা বলেন, চকবাজার থানার এক ডাকাতি মামলায় পাঁচ বছর জেল খেটেছে শিপন। শিপনের স্ত্রী পেশায় গার্মেন্টকর্মী।

ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিপন প্রথমে মমিনুল ইসলাম নামে অপর এক বাসিন্দাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পরে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে শিপন।

ওই ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিপন নির্লিপ্ত। তার বিরুদ্ধে বাড্ডার ওই এলাকায় আরও একাধিক নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) এডিসি মো. শাহজাহান বলেন, আসামিকে আজ (সোমবার) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৭)