E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

দিনাজপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শকুন

২০১৪ ডিসেম্বর ২৫ ১২:০৭:২৬
দিনাজপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শকুন

শাহ্ আলম শাহী : বৃহত্তর দিনাজপুরে হারিয়ে যাচ্ছে হরেক জাতের শকুন। এ অঞ্চলে একসময় প্রচুর পরিমাণে কয়েক প্রজাতির শকুন বসবাস করতো। তবে এখন এ শকুনের দেখা মেলা ভার। চোখে পড়ছেনা আর শকুন। কয়েক বছর আগেও দেখা মিলতো দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো শকুনের।

কিন্তু এখন সারাদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলেও আর দেখা যায় না শকুন।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদরা বলছেন, এ পাখি প্রজাতিটি এখন বিপন্নের তালিকায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গবাদি পশুর চিকিৎসায় এখন বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ। এর প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত কিডনি নষ্ট হয়ে শকুন বিলুপ্ত হচ্ছে। এছাড়া বন উজাড় ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় শকুন, চিল, বাজ, ঈগল, পেঁচাসহ বৃহদাকার শিকারী ও মাংসাশী পাখি প্রজাতি হারাচ্ছে তাদের বাসস্থান।

সম্প্রতি বৃহত্তর দিনাজপুরের (দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়) বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৯টি বিপন্নপ্রায় শকুন উদ্ধার করেছে। পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেখে নিবিড় পরিচর্যা ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শকুন গুলো কিছুটা সেরে উঠলে শিগগিরই চিকিৎসার জন্য গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।

দিনাজপুর বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা আলী কবির তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো শীতের শুরুতে হিমালয় অঞ্চলে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শকুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি ও বন্যপ্রাণীরা অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রার অঞ্চল বাংলাদেশে আগমন করছে।

দেশের নদ-নদীর অববাহিকাসহ জলাভূমিতে আগত অতিথি পাখি ও অন্যান্য প্রাণীদের রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

(এএএস/এটিআর/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test