E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

এক ডোজের ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন করল জনসন অ্যান্ড জনসন

২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৮:১৬:৪০
এক ডোজের ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন করল জনসন অ্যান্ড জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতির জন্য বৃহস্পতিবার মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে অনুমোদন পেলে, ফাইজার ও মডার্নার পর এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার জন্য অনুমোদিত তৃতীয় ভ্যাকসিন।

জে অ্যান্ড জে’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক ডোজের করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমতির জন্য কোম্পানির অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন বায়োটেক যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন জমা দিয়েছে।

দুটি কারণে এই ভ্যাকসিন নিয়ে অধীর অপেক্ষা চলছে। প্রথম কারণ হল- এটি বিশেষ হিয়ামিত ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে না, বরং রেফ্রিজারেটরের সাধারণ তাপমাত্রায়ই সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে এর বিতরণ সহজ হবে। দ্বিতীয় কারণ- মাত্র একটি ডোজ নেয়া লাগবে।

আশা করা হচ্ছে, জে অ্যান্ড জে’র আবেদনের প্রেক্ষিতে এফডিএ তাদের পরামর্শক কমিটিকে ভ্যাকসিন বিষয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান করবে। ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণের পরে এই কমিটি মতামত জানাবে।

ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিন অনুমোদনের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহের মতো সময় লেগেছিল। তবে জনসনের ক্ষেত্রে তা আরও দ্রুত হতে পারে।

গত সপ্তাহে জে অ্যান্ড জে জানায়, তারা আটটি দেশে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করেছে। ট্রায়ালে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। এছাড়া করোনার গুরুতর অবস্থা থেকে রক্ষা করতে ভ্যাকসিনটি ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

তবে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু আশংকাও তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকারিতা ৭২ শতাংশ পাওয়া গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গেছে ৫৭ শতাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরণ ছড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে ভাইরাসটির আরও নতুন ধরণ এলে, বর্তমান ভ্যাকসিনের ফলে শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তাকে ভাইরাস পরাজিত করতে সক্ষম হতে পারে। এজন্যই দ্রুত ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেশজ্ঞরা। কারণ নিজের প্রতিলিপি তৈরির পর ভাইরাসটি বদলে যায়।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘ভাইরাস যদি প্রতিলিপি না করতে পারলে তাহলে বদলাতেও পারে না।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test