E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় মিনি চৌধুরী খুনের রহস্য উদঘাটন : গ্রেফতার ২

২০১৭ ডিসেম্বর ২৫ ১৭:১৩:১২
নওগাঁয় মিনি চৌধুরী খুনের রহস্য উদঘাটন : গ্রেফতার ২

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ শহরের পোষ্ট অফিস পাড়ার জাপা নেতা ও রানীনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত কেসি মশিউর আলম বাচ্চু চৌধুরীর স্ত্রী চাঞ্চল্যকর জেবুননেছা ওরফে মিনি চৌধুরী খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার মুল দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলাধীন অন্তাহার গ্রামের ফিরোজের পুত্র চঞ্চল (১৯) এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র সোহাগ (২১)। মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর ফায়সাল বিন আহসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ রবিবার ভোররাতে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা ওইদিন আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে।

নওগাঁ সদর থানার অফিসাস ইনচার্জ মোঃ তোরিকুল ইসলাম জানান, টাকা পয়সার লোভ থেকেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চঞ্চল একজন রংমিস্ত্রি। সে অন্যান্য মিস্ত্রিদের সঙ্গে রানীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কে সি মশিউর আলম বাচ্চু চৌধুরীর বিধবা স্ত্রী উক্ত জেবুননেছা মিনি চৌধুরীর পোষ্টঅফিস পাড়ার বাসায় কয়েকদিন ধরে রঙের কাজ করছিল।

গত ২ ডিসেম্বর তাদের রঙের কাজ শেষ হয়। কাজ করার সময় চঞ্চলের মধ্যে লোভের সৃষ্টি হয়। মিনি চৌধুরী সম্পূর্ন একা বাসায় থাকতেন। সম্ভ্রান্ত এই পরিবারের অনেক টাকা পয়সা আছে। মুলত এই লোভ থেকেই পরিকল্পনা করে লুট করার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী একই গ্রামের তার বন্ধু উক্ত সোহাগকে নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে মিনি চৌধুরীর বাসায় আসে। পর পর তিনবার কলিং বেল টিপেও কোন সাড়া পায়নি। চতুর্থবার কলিং বেলের আওয়্জা পেয়ে ভিতর থেকে জিজ্ঞেস করে জানতে চান কারা এসেছে। তখন চঞ্চল নিচে থেকে পরিচয় দিলে তিনি বলেন কাজতো শেষ হয়ে গেছে। আবার কি? তখন চঞ্চল বলে যে তাদের রঙ করার ড্রেস আছে সেটা নিতে এসেছে। তখন তিনি ওপর থেকে চাবি নেমে দিলে তারা দু’জন চাবি খুলে ভিতরে ঢোকে।

এ সময় মিনি চৌধুরী রান্নাঘরে মেঝেতে উবু হয়ে মেঝে মোছার কাজ করছিলেন। তখন চঞ্চল তার মুখ চেপে ধরে এবং সোহাগ জবাই করে হত্যা করে। পরে তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে কোন মালামাল বা টাকা পয়সা না নিয়েই পালিয়ে যায় তারা। এ সময় চঞ্চল তার সাইকেল এবং স্যান্ডেল ফেলে রেখে যায়।

পুলিশ ওই সাইকেল এবং স্যান্ডেল পরীক্ষা নিরিক্ষিা করে স্পষ্ট হয় এটি রঙ মিস্ত্রির কাজ। নিশ্চিত হয়ে অবশেষে বহু কৌশল করে রবিবার ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ওইদিনই প্রথমে পুলিশের নিকট এবং পরবর্তীতে নওগাঁর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test