E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুলবাড়ীতে শীত ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত 

২০১৮ জানুয়ারি ০২ ১৭:০৫:৫৩
ফুলবাড়ীতে শীত ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত 

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অব্যাহত তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে গত তিনদিন থেকে সূর্য্যরে দেখা মেলেনি এই অঞ্চলে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়ক পথে চলাচল করতে হচ্ছে। সরকারিভাবে কম্বল বরাদ্দ আসলেও সংখ্যায় তা অপ্রতুল।

শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরা। গত এক সপ্তাহ আগে পুরাতন গরম কাপড়ের দাম তেমন না থাকলেও গত তিন থেকে বেড়ে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি ওইসব পুরাতন গরম কাপড়। পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন নিন্মবিত্ত পরিবারগুলো।

এদিকে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাসের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর পরিবারগুলো। গত দুইদিন থেকে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাসের কারণে কাজ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওইসব পরিবার। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিন্মবিত্তরা। শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেই বের হচ্ছেন না। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। পৌর শহরের বেশিরভাগই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সকাল ১০টার পর খুলছে। শীতের কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ক্রেতা শূন্য হয়ে। হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে।

মাইক্রোবাস চালক মো. আলম, কামাল হোসেন, বাস চালক রফিকুল ইসলাম, ট্রাক চালক বাবু মিয়া বলেন,ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলেই আতঙ্কের মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনের দশ গজ দুরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে প্রতিটি সড়কেই প্রতিদিনই দু’চারটি দুর্ঘটনা ঘটছে। রিকশা-ভ্যান চালক আব্দুল জব্বার, শাহাজাহান আলী, রফিকুল ইসলাম ও রমজান আলী বলেন, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে ঠান্ডা বাসাতের জন্য গত তিনদিন ধরে তেমন আয় রোজগার করতে পারেননি।

আদিবাসী নারী শ্রমিক আরতি কিস্কু, মিনতি মারডি ও শাপলা সরেন বলেন, শীত আর ঘন কুয়াশার সাথে সাথে হাঁড় কাঁপানো বাতাসের জন্য তারা ক্ষেতখামারে কাজে যেতে পারছেন না। এতে বেকার হয়ে থাকতে হচ্ছে বাড়িতে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য তিন কিস্তিতে ৪হাজার ২০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সাতটি ইউনিয়নে প্রত্যেকটিতে ২০০করে ১হাজার ৪০০কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলো দু’একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার মতো এখনও তেমন জটিল রোগে পাওয়া যায়নি।

(এসিজি/এসপি/জানুয়ারি ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test