E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

২০১৮ জানুয়ারি ০৫ ১৪:৫৩:৫০
শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন।শীত জনিত বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দিয়েছে । ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে,বোরো’র বীজতলা, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের।

দিনাজপুরে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এ পর্যন্ত এই জেলায় এই মৌসুমের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর হোসেন জানান, দিনাজপুরে গত ৫দিন ধরে ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শুক্রবাার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহসাপতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে এই অঞ্চল দিয়ে বইতে শুরু করেছে শৈত্য প্রবাহ। তাই এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

সকালে প্রচন্ড কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। দিনের মাঝামাঝি সময় সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। সেই সাথে ৩ দিন ধরে বইছে শৈত্য প্রবাহ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আর শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমুল ও নিন্ম আয়ের মানুষ। আর বিপাকে পড়েছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা।

ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ১০ ফুট দুরেও কোন কিছু দেখা যাচ্ছেনা। সড়কে যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এর পরেও বাড়ছে দূর্ঘটনা। শীতবস্ত্রের আশায় গরীব ছিন্নমূল মানুষ চেয়ে আছে।

এদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন শীত জনিত রোগ বালাই। হাসপাতালে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া, আমাশয়, হাঁপানি, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওয়াহেদ জানান, এই শীতে শিশুদের গরম কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখার এবং শিশুকে যাতে শীত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।

ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরো বীজতলা, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষক।

দিনাজপুরের সদর উপজেলা উলিপুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে তার বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ফসলে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে ছেঁটানো হচ্ছে।

(এএসএ/এসপি/জানুয়ারি ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test