E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চরম বিপাকে কৃষক

দিনাজপুরে গভীর নলকূপের বিরোধে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ

২০১৮ জানুয়ারি ২৯ ১৪:৩০:৩৭
দিনাজপুরে গভীর নলকূপের বিরোধে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় গভীর দু’টি নলকূপের দু’পক্ষ’র বিরোধে ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা বোরো মৌসুমে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে প্রায় দু’শ বিঘা ফসলি জমি। বিঘ্নিত হচ্ছে, বোরোসহ অন্যান্য ফসলেরও চাষাবাদ। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে এলাকার প্রায় দেড় সহস্রাধিক প্রান্তিক কৃষক। সেচ সুবিধা না পাওয়ায় তারা চরম হতাশা দিন কাটাচ্ছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী। 

পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের কৈর্বত্যপাড়া গ্রামে এখন ভরা বোরো মৌসুমেও দিগন্ত ফসলের মাঠ অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে। অদূরত্বে দু’টি গভীর কলকুপ থাকলেও সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে,বোরোসহ অন্যান্য ফসলেরও চাষাবাদ। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে এলাকার প্রায় দেড় সহস্রাধিক প্রান্তিক কৃষক।

ফসলি জমিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য ২০০৯ সালে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন কৈর্বত্যপাড়া গ্রামের কিশোর। এই গভীর নলকুপের আওতায় থাকা ১৭১ বিঘা জমি প্রতি বছরেই সেচ সুবিধা পেলেও এবার তা পাচ্ছেনা।২০১৭ সালে একই গ্রামের গৌরাঙ্গ সরকার ওই গভীর নলকূপের অদূরে ১৭২০ ফিট পূর্বে আর একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে। কিন্তু গৌরাঙ্গের কলকুপের পানি সরবরাহ এলাকা বৃদ্ধির জন্য কোন রকম আল্টিমেটাম না দিয়েই কিশোরের তৈরীকৃত পানি সরবরাহের ড্রেন ভেঙ্গে নিজের ইচ্ছা মতো আন্ডার গ্রান্ডাউ পানি সরবরাহ লাইন তৈরী করে। ফলে কিশোরের গভীর নলকুপ থেকে উত্তোলিত পানি সরবরাহ করতে না পারায় এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় দু’শ বিঘা ফসলি জমি।সেচ সুবিধা না পাওয়ায় একার কৃষক চরম হতাশা দিন কাটাচ্ছে।
গভীর দু’টি নলকুপের দু’পক্ষ বিরোধের কারণে শুধু ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ বন্ধ নয়, দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।

বিষয়টি জেলা সেচ কমিটি’র সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের নজরেও এসেছে। অতিশীঘ্রই এ জটিলতা নিরসন করে বোরো চাষাবাদ নিশ্চিত করার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

দুই গভীর নলকূপ মালিকের দ্বন্দ্বের কারণে এ অঞ্চলে বন্ধ রয়েছে সেচ ব্যবস্থা। ফলে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে শত শত বিঘা জমি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি বোরো মৌসূমসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন ভুক্তভোগি কৃষকরা।

(এসএএস/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test