E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জামগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আত্রাইয়ে পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে চলছে পাঠদান 

২০১৮ জানুয়ারি ২৯ ১৭:৪৩:১০
আত্রাইয়ে পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে চলছে পাঠদান 

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের ৩৬ নং জামগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোড়াতালি দেয়া পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে চলছে পাঠদান।

বর্তমানে শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জীবনের জুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। বিদ্যুৎ ছাড়াই টিনের ছাউনির নিচে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ করতে হয় এই বিদ্যালয়ে।

পাকা রাস্তা ও বিদ্যুৎবিহীন অজোপাড়া গাঁয়ের একমাত্র বিদ্যাপিঠ এই শতবর্ষী স্কুল। ১৯০২ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের হাতে এই বিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হলেও বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি। তিন দশক আগে নির্মিত একতলা ভবনগুলোর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। বর্তমান ভবন ও পরিত্যক্ত ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ও অবিভাবক মহল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত দেয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের জন্য কোন খেলার সামগ্রী। কিন্তু সরকার বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য খেলনা সামগ্রী রাখা বাধ্যতামুলক করে দিলেও এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত। বিদ্যালয়ে নেই কোন নিরাপত্তা প্রাচীর। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বার বার অবগত করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে মোট ২শ’ ৫৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২শ’ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহন করছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম জানান, বর্তমানে আমাদের এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জড়িত। মাটির দুটি পরিত্যক্ত কক্ষসহ মোট ৭টি কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে পুরনো একতলা ভবনের ৫টি ও মাটির ১টি সহ মোট ৬টি কক্ষে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। কক্ষের সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত মাটির ভবনের একটি কক্ষ সংস্কার করে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কোন ব্যবস্থা না থাকায় গ্রীষ্মের সময় টিনের ছাউনির নিচে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ছেলে-মেয়েরা কষ্ট করে ক্লাস করে থাকে। এছাড়াও শিক্ষক ৮ জন থাকার কথা থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন ৬জন। দীর্ঘদিন যাবত ২জন শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ সাথিয়া আক্তার অপু জানান, এই বিদ্যালয়ের কাজগুলো প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। তাই সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

(বিএম/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test