E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৬:৫০:৪৮
রাণীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাদা কাগজে উপস্থিতির স্বাক্ষর নিয়ে পরে নিজের ইচ্ছে মতো কথা লিখে জালিয়াতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম নির্বাচিত হবার পর থেকে তিনি তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে যে কোন বিষয় অর্থের বিনিময়ে সমাধান করে আসছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার টং গ্রামের সাদেক আলী আকন্দের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম কোন উপায় না পেয়ে ইউএনওসহ বিভিন্ন উর্দ্ধতন মহলে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের টং গ্রামের সাদেক আলী আকন্দ দীর্ঘদিন যাবৎ তার পৈত্রিক আমল থেকে জিম্মাদার হয়ে পিরপালের ১একর ৯২ শতাংশ জমি দেখভাল করে আসছেন। হঠাৎ করে বিএনপি সমর্থিত একই গ্রামের বিদেশ ফেরত মোঃ মতিউর রহমান আকন্দসহ গ্রামের আরো কয়েকজন বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তি ওই পীরপালের জমির জিম্মাদার সাদেক আলী আকন্দের কাছ থেকে মুক্ত করে নেয়ার জন্য একডালা ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান করার জন্য গত ৩১অক্টোবর ২০১৭ তারিখে বাদী-বিবাদী উপস্থিত হলে পরিষদের চেয়াম্যানের মোঃ রেজাউল ইসলাম ও সচিব মোঃ আব্দুল হাকিম সাদা কাগজে কৌশল করে উভয় পক্ষের উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু বিষয়টি সেই দিন সমাধান না হওয়ায় চেয়ারম্যান পরবর্তিতে বিষয়টি সমাধান করার জন্য পরবর্তি বৈঠকের সম্ভাব্য দিন-তারিখ জানানো হবে বলে উভয়পক্ষকে জানিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তিতে আর কোন বৈঠক না করেই উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়া ওই সাদা কাগজে বিএনপি সমর্থিত মতিউর রহমান আকন্দের পক্ষে একতরফা রায় প্রদান করেন চেয়ারম্যান।

পীরপালের এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির জিম্মাদার ও গ্রামের অপরপক্ষ বিএনপি সমর্থিত কতিপয় ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে কিছুদিন পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে কতিপয় ব্যক্তি পিরপালের জমিতে থাকা বাঁশ ও অন্যান্য গাছ ও পিরপালের পুকুর থেকে জোর করে মাছ তুলে বিক্রি করে ভুড়িভোজের আয়োজন করে।

এর কিছু দিন পর জমির বর্তমান জিম্মাদারের পরিবারকে এক ঘরে করে রাখা হয় চেয়ারম্যানের মদদে। ওই পরিবারকে এক ঘরে রাখার সংবাদটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় চেয়ারম্যান স্বাক্ষর জালিয়াতির এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করে। বিষয়টির সঠিকভাবে সমাধানের জন্য বর্তমান জিম্মাদার মোঃ সাদেক আলী আকন্দ ও তার ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test