E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে অন্তসত্ত্বা এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৬:৪৮:২০
স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে অন্তসত্ত্বা এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে অন্তসত্ত্বা এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। প্রতিকার না পেয়ে শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যবসেন গ্রামে নানা হাবিব সিকদারের বাড়ি থেকে উপজেলা সদরের শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছিল শিক্ষার্থী সুমি আক্তার। সুমি জন্মের পর থেকে তার নানা বাড়ি থেকে লেখা পাড়া করত। সুমি পটুয়াখালী জেলার আমতলী গ্রামের হারুন খানের মেয়ে।

নানাবাড়ি থেকে লেখা পড়ার সুযোগে যবসেন গ্রামের নানার পাশ্ববর্তি বাড়ির মৃত হারুন সিকদারের ছেলে সজল সিকদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক শারিরীক সম্পর্কে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সুমি অন্তসত্বা হয়ে পরে। সুমি বিয়ের জন্য সজলকে বললে সজল সুমিকে ঢাকা নিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিয়ে দেখিয়ে একত্রে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। এর কিছু দিন পর সুমিকে লেখা পড়ার অযুহাত দেখিয়ে তার গভের সন্তান কৌশলে নস্ট করে তাকে পুনরায় বাড়ি এনে স্কুলে পাঠায় সজল। এরপর সজলও বাড়ি ফিরে আসে।

এরই মধ্যে তাদের মেলামেশায় সুমি পুনরায় অন্তস্বত্বা হয়ে পরে। সম্প্রতি সুমি সজল ও তার পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিতে বললে সজল ও তার পরিবার তালবাহানা শুরু করে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ের মধ্যে সজল কৌশলে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর চিন্তা করে। বিষয়টি সুমি জেনে স্ত্রীর দাবি নিয়ে শুক্রবার রাতে সজলের ঘরে উঠলে সজল ও তার মা মজিবন বেগম সুমিকে বেদম মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

শুক্রবার রাতে সুমি ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোশারফ হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। রাতে সজল আত্মগোপন করলে শনিবার সকালে সুমি খবর পেয়ে নানার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বাড়ির লোকজন সুমির ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সুমিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শনিবার গণিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সুমি।

এসআই মোশারফ হোসেন জানান, অভিযোগের তদন্ত করতে তিনি শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে যান। এসময় স্থানীয় প্রভাবশালী সহিদ পাইক পুলিশের উপস্থিতিতে সুমির বাড়িতে আসলে সহিদের সামনেই সুমির নানা বাড়ির লোকজন সালিশ মিমাংসার নামে একাধিক প্রহসনের বৈঠকের জন্য তাকে দায়ি করেন। এসময় সহিদ পাইক সুমি ও সজলের বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান পুলিশকে।

সহিদ পাইক সাংবাদিকদের জানান, সুমিকে স্ত্রীর মর্যাদায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test