চাটমোহরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধূলাউড়ি বড়–রিয়া গ্রামে শনিবার রাতে লাবনী খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধূলাউড়ি বড়–রিয়া গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী এবং ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী গ্রামের আবদুল করিম সরকার ওরফে খাদেমের মেয়ে।

গৃহবধূর পিতার পরিবারের দাবি লাবনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মুখে ও শরীরে কীটনাশক বিষ পাউডার ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী, শশুড়, ভাসুর ও দেবর পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে স্বামী সোহেল রানা, শাশুড়ী আমেনা বেগম, ভাসুর শরিফ হোসেন ও দেবর শহিদুলের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় লাবনী খাতুনের। সন্ধ্যায় বাড়ির সবার অগোচরে ঘরে রাখা পিঁপড়ে মারা কীটনাশক ফিনিস পাউডার পান করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে রাত ৯টার দিকে লাবনী খাতুন মারা যায়। পরে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সবাই বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেয়।

লাবনী খাতুনের ভাই সবুজ সরকার অভিযোগ করে জানান, শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, গত ৮মাস আগে সোহেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয় লাবনীর। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও দেবর মিলে তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো। শনিবার বিকেলে লাবনীর সাথে ঝগড়া হলে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাসপাতালের নেয়ার অভিনয় করা হয়।

থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ‘পারিপার্শিক অবস্থা দেখে মৃত্যুর ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এসএইচএম/এসপি/মার্চ ২৫, ২০১৮)