E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধলঘাটাবাসীর উন্নয়ন চায় চেয়ারম্যান কামরুল

২০১৮ এপ্রিল ০৮ ১৫:১৬:১৫
ধলঘাটাবাসীর উন্নয়ন চায় চেয়ারম্যান কামরুল

বিশেষ প্রতিবেদক : মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নামে নয়। মূলত ধলঘাটা এবং মাতারবাড়ী দুই ইউনিয়নের দ্বীপের নামেই সৃষ্ঠি ‘মাতারবাড়ী দ্বীপ’। আর এই মাতারবাড়ীর দ্বীপ নামেই নামকরণ করা হয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এমনকি তথ্যমতে দেখা যায়, ১৪ শত একর জমিতে ধলঘাটার জমি হচ্ছে প্রায় ৫ শত একর আর ৯ শতক একর হচ্ছে মাতারবাড়ীর জমি।

অন্যদিকে এলাকাবাসীর হা-হুতাশ আর অভিযোগ, শুধুমাত্র নামকরণের কারণেই ধলঘাটাবাসী সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত আর বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। যেমনটি শ্রমিক নিয়োগে বৈষম্য,ব্যবসা বাণিজ্যে বৈষম্য, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈষম্য,আচার আচারণে বৈষম্য লক্ষ্যনীয়।

মহেশখালী দ্বীপের ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জোর দাবি জানান,সকল বৈষম্য দূর করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মেঘা প্রকল্পকে বির্তকমুক্ত ভাবে আলোকিত করবে।

তিনি অরো জানান, শ্রমিক নিয়োগ ও শিক্ষিত যুবকদের চাকরীর দেওয়ার কথা থাকলেও আজ জাইকা অভিজ্ঞতার কথা বলে শ্রমিক, ছাত্র, বেকার যুবকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি অতিস্বত্ত্বর কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্মান করে কাজের ধরন বুঝে ব্যবস্থা গ্রহন করারও আহবান জানান।

এলাকাবাসী জানান,যাতায়ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা । অতিস্বত্তর যাতায়তের জন্য বিকল্প সড়ক র্নিমাণ করে জনগনের পাশে দাড়ানোর কথা বলেন।

অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে,ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর লোক লবন ব্যবসা এবং চিংড়ী ব্যবসা হারিয়ে পথে বসেছে আর এদিকে বাহিরের লোক এসে ঠিকাদারী করে আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে।

আর ও দুঃখজনক যে, যারা কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুরুতেই ২৩ কোটি টাকা দুর্নীতি করে দুদকের মামলায় জেল কেটে বের হয়েও পুনরায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপক অনিয়ম। জাইকার কতিপয় ঠিকাদার ও স্থানীয় কিছু দালাল চক্র ১০/৩০ হাজার টাকায় নিয়োগ দিচ্ছে ভাড়াটে বহিরাগতদের। সেই ক্ষেত্রে এলাকার চেয়ারম্যান ধারা যাচাই করার কথা থাকলেও সেটিও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে ধলঘাটার শ্রমিক নিয়োগ নেওয়া হচেছনা।

মাতারবাড়ীর মেঘা প্রকল্পের জন্য নামেমাত্র জমি ছেড়ে দিয়ে অনেক ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর লোক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। তা ছাড়া জাইকাও চুক্তি ভঙ্গেও পথে।

ধলঘাটা ইউনিয়নে যে দুটি মেঘা প্রকল্প হচ্ছে, তার মধ্যে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান দাবি জানান, এতে সমুদ্র বন্দরের নাম হতে হবে ধলঘাটা গভীর সমুদ্র বন্দর এবং জমির ন্যায্য মূল্য ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত এক ইঞ্চি জমিও জনগণ ছাড় দেবেন না।

অর্থনৈতিক অঞ্চল সর্ম্পকে তিনি বলেন, যদিও আমরা ৭ ধারা নোটিশ পেয়েছি কিন্ত আগের মতই সু-স্পস্টভাবে ঘোষাণা দিয়েছেন, জমির ন্যায্য মূল্য ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোন ধরনের ছাড়পত্র ছাড় দেবেন না।

গত ৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসক, এম,পি আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড,সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর ভূমি অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় উপরোক্ত দাবী দাওয়ার কথা তোলে ধরেন বলে জানান চেয়ারম্যান।

(জেজে/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test