E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মামলা তুলে না নেয়ায় নারীসহ দুজনকে ছুরিকাঘাত

২০১৮ এপ্রিল ৩০ ১৭:০৭:২৮
মামলা তুলে না নেয়ায় নারীসহ দুজনকে ছুরিকাঘাত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় মামলা তুলে না নেয়ায় বসতবাড়ি ভাঙচুর করে আনোয়ারা বেগম (৩৫) নামে এক নারী ও তার ভাতিজা আবদুস ছালামকে (২০) মারধরের পর ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক বিজিবি’র সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বিজিবি’র সদস্য শাহারুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামি করে শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সাদুল্যাপুর থানায় মামলা করেছেন আহত আবদুস ছালামের বাবা রফিকুল ইসলাম।

অন্য আসামিরা হলেন, শাহারুল ইসলামের ভাই সাদেক আলী, আল-আমিন, সুলতান মিয়া, সুজন মিয়া ও মকবুল হোসেন।


শাহারুল ইসলাম বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) রংপুর সেভেন ব্যাটালিয়নে লেন্স কর্পোরল হিসেবে কর্মরত। তবে ঘটনার পর থেকে শাহারুল ইসলাম পলাতক থাকায় চেষ্টা করেও অভিযোগের বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মামলা দায়ের করার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এরআগে, বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুত্বর আহত আনোয়ার বেগম ও তার ভাতিজা আবদুস ছালামকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে তারা দুজনে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রফিকুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহারুল ইসলামের সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলে আসছিলো। আদালতের মামলা তুৃলে নিতে শাহারুল ও তার লোকজন প্রায়ই তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন ২৫ এপ্রিল সকালে ছুটিতে থাকা শাহারুল ইসলাম ৫-৭ জন লোক নিয়ে তার বসতবাড়ির জমি দখলের চেষ্টা করে।

এসময় তার ছেলে আবদুস ছালাম তাদের বাঁধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে শাহারুল তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবদুস ছালামের মাথায় আঘাত করে। এসময় তার চাচী তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে শাহারুল।

এছাড়া এসময় তারা তারা তার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ারা বেগম ও আবদুস ছালামের অভিযোগ, শাহারুল একজন বিজিবি’র সদস্য। তিনি রংপুর সেভেন ব্যাটালিয়নে লেন্স কর্পোরল হিসেবে কর্মরত। এ কারণে তিনি প্রায়ই ছুটি নিয়ে বাড়ি এসে জমি দখলসহ তাদের মারধর করাসহ দেখে নেয়ার হুমকি দিতেন। এ ঘটনায় তারা শাহারুল ইসলামসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

মামলার বাদি রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, ‘বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কিন্তু মামলার তিনদিন হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি’।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে’।

(এসআইআর/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test