E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যমুনা তীরবর্তী গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন, হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতু 

২০১৮ জুন ০৫ ১৪:৫৩:৪৯
যমুনা তীরবর্তী গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন, হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতু 

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : যমুনা তীরবর্তী এলাকার বঙ্গবন্ধুসেতুর পূর্বপ্রান্তে গ্রাম রক্ষা বাঁধে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের ১৫-২০টি বাড়ি যমুনার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ভাঙনের ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুও হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। নদীর পানি বৃদ্ধি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) গাফিলতিকেই এ অবস্থার জন্য দায়ি করছেন ঘরবাড়ি হারানো মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের আকবর আলী আকন্দ, চাঁন মিয়া হাজী, আব্দুল আলী মন্ডল, আব্দুস সালাম, জোনাব আলী তালুকদার, দোকানদার আবুল হোসেন, কোরবান আলী, আকবর সিকদার, আশরাফ আলী, সোলায়মান, শফিক উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, খালেদ মন্ডলসহ আরো অনেকের ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। তারা অন্যের বাড়িতে এবং খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

রাশিদা বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমাগো পাকা দেয়াল করা ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সব কিছুই নদীতে চইলা গেছে। এহন অন্যের জাগায় কষ্ট করে কোন মতে থাকতাছি।’ আকবর আলী আকন্দ বলেন, ‘গতবছরও ভাঙনে ম্যালা মাইনসের বাড়ি ঘর নদীতে চইলা গেছে। এবারও বর্ষা শুরু হওয়ায় আগেই তীব্র ভাঙন শুরু হইছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের রক্ষা নাই’।

ভাঙনের শিকার ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও বিবিএ-এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের এই অবস্থা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা আরও বলেন, শুকনো মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে, তখন যদি বিবিএ কাজ করতো তাহলে এই ভাঙন হতো না। শত শত মানুষ বাড়ি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হতো না। এজন্য ওরাই দায়ি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে এই ভাঙনে সেতুর কোন ক্ষতি হবে না। ভাঙন ঠেকাতে সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

(আরকেপি/এসপি/জুন ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test