রূপপুর প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ঈশ্বরদী (পাববনা) প্রতিনিধি : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে চাষাবাদকারী কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপুরণের অর্থ দ্রুত বিতরণের দাবিতে রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

শনিবার দুপুরে বিক্ষোভ শেষেু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষকরা ক্ষতিপূরণে টাকা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণের আহবান জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

কৃষকরা হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কৃষকদের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লক্ষীকুন্ডা ও পাকশী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৯৯৬ একর জমি কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অধিগ্রহন করে। এরমধ্যে ১৯ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন অবশিষ্ট সরকারের খাস খতিয়ানভূক্ত। এসব জমি লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার কৃষকরা চাষাবাদ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ নিবৃত্ত করছিল। জমি অধিগ্রহনের সময় কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতি নির্ধারণের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটিতে লক্ষীকুন্ডা ও পাকশী ইউপির দুই চেয়ারম্যান, দুই তহশিলদার, সহকারী কমিশনার(ভূমি), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বন কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, প্রকল্পের সাইড অফিসের ইনচার্জ ও একজন প্রকৌশলী ছিলেন। ৯৯৬ একর জমির অধীনে ৭৭৫ জন কৃষকের নামে ২৭কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করে প্রকল্প অফিস, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে জমা দেয়া হয়।

এই তালিকা অনুযায়ী প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা বরাদ্দ করেন। বরাদ্দকৃত টাকা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রায় বছর খানেক আগে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলেও অদৃশ্য কারণে এই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রদান না করায় কৃষকরা সংবাদ সম্মেলনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রেজাউল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল কিতাব মন্ডল, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম, বেলি বেগম, আশরাফ ডুবুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এনামুল কবির, কামরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ।

(এসকেকে/এসপি/জুন ০৯, ২০১৮)