E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরের বিভাগের জমি দখলে নিতে অবৈধ স্থাপনা!

২০১৪ জুলাই ১২ ১৬:২২:২৯
শেরপুরের বিভাগের জমি দখলে নিতে অবৈধ স্থাপনা!

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন বিভাগের জমি দখলে নিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিয়োগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থাপনা নির্মানকাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দিলেও ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক নিমাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত উসমান গনির ছেলে আব্দুর রহিম রাজনগর মৌজার ৬০১ নম্বর দাগে রাজনগর নামক স্থানে বনবিভাগের ৮৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ওই জমিতে প্রভাবশালী আব্দুর রহিম গত এক সপ্তাহ আগে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মান শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে হাজির নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বন বিভাগের নিষেধ অমান্য করে জোরপূবক স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন ওই ব্যক্তি।

বন বিভাগের স্থানীয় কেয়ারটেকার উজির আলী জানান, বন বিভাগেন নির্দেশ অমান্য করে আব্দুর রহিম স্থাপনা (ঘর) নিমার্ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুল হালিম লেবু ও আরদান আলী জানান, জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি এ জায়গাটা বন বিভাগের। কিন্তু হঠাৎ করেই আব্দুর রহিম জোরর্পূবক এখানে ঘর নির্মান শুরু করেছেন। গ্রাম পুলিশের নারী সদস্য শাহিদা পারভিন জানান, আমরা জেনে আসছি এই জায়গাটি বন বিভাগের, এখানে আগে ফরেষ্ট অফিস ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই গায়ের জোরে জোরপূর্বক এখানে আব্দুর রহিম রহিম ঘর তুলতাছেন। আমরা এলাকাবাসীরা তাকে বারণ করলেও সে আমাদের কোন কথাই শুনছে না।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রহিম বিএনপি’র রাজনীতি কররেও তাকে শেল্টার দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক নেতা। যে কারণে তার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েও কোনো ফলোদয় হচ্ছেনা। কেউ কেউ আবার এটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের বিরুদ্ধে বানিজ্য করার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, না হলে বনবিভাগের সরকারী জমি থেকে এই অবৈধ স্থাপনা সরাতে ২৪ ঘন্টার বেশী সময় লাগার কথা নয়।

এ বিষয়ে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আকন্দ জানান, বন বিভাগের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মানের খবর পেয়ে আমি লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিমার্ণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু আমার নিষেধ উপেক্ষা করে আব্দুর রহিম কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় ডেকে নিয়ে প্রভাবশালী আব্দুর রহিমকে তার নির্মানকৃত স্থাপনা (ঘর) সরিয়ে ফেলার কথা বললে থানায় স্বীকারোক্তি দিলেও এখনও পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে বন বিভাগের জমি থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেননা।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এলাকায় গিয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অন্যের কোন জমিতে ঘর তুলছিনা। বাপ-দাদার জমিতেই ঘর তুলছি। এর বেশী আর কোন কথা তিনি বলতে চাননি।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি একেএম আমিনুল হক বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ পাঠিয়ে আব্দুর রহিমকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিলো। তিনি স্থাপনা সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বনবিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এরপর লিখিতভাবে আর কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

(এইচবি/এটিআর/জুলাই ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test