E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে : ভূমিমন্ত্রী

২০১৮ জুলাই ০৬ ১৬:১৭:৪০
বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে : ভূমিমন্ত্রী

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তির প্রায় এক বছর পর রূপপুর পারমাণিবক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমিতে চাষাবাদকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপুরণ বাবদ চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি বলেছেন, বিদ্যুৎ ছাড়া একটি জাতির উন্নয়ন অচল। বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা বিদ্যুতের উন্নয়নতো দূরের কথা, যা ছিল সেটাও ধ্বংস করেছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকরা ক্ষতি স্বীকার করেও উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পের জন্য জমি ছেড়ে দিযেছে। যা নজির বিহীন ঘটনা। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তাকারী বন্ধু রাশিযা আমাদের উন্নয়নে আবারো পাশে দাঁড়িয়ে এই প্রকল্প নির্মাণ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুনের সভাপতিত্বে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের শংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সকল কৃষকই টাকা পাবেন। তবে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।

প্রথম দফায় ৬৫০ জন কৃষকের মধ্যে ২৬৯ জন কৃষকের হাতে প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খাতুন, থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন, পিপি এ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা, লক্ষীকুন্ডা ইউপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ ও পাকশীর চেযারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস।

এর আগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বরাদ্দকৃত টাকা প্রদান না করায় কৃষকরা মানববন্ধন ও ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। ক্ষতিগ্রস্থরা এসময় বলেন, আমাদের টাকা দেয়া হোক, না হয় মেরে ফেলা হোক।

উল্লেখ্য,পারমাণিবক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সরকার সর্বশেষ লক্ষীকুন্ডা ও পাকশী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৯৯৬ একর জমি কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে অধিগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১৯ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন অবশিষ্ঠ সরকারের খাস খতিয়ানভূক্ত। দীর্ঘদিন যাবত এলাকার কৃষকরা এসব জমিতে চাষাবাদ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ নিবৃত্ত করছিল।

৯৯৬ একর জমির অধীনে ৬৫০ জন কৃষকের নামে ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করে প্রকল্প অফিস, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে জমা দেয়া হয়। এই তালিকা অনুযায়ী প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা বরাদ্দ করেন।

বরাদ্দকৃত টাকা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রায় বছর খানেক আগে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলেও এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রদান না করায় কৃষকরা এর আগে তীব্র ক্ষেভ প্রকাশ করে মানববন্ধন, ঘেরাও ও সাংবাদিক সম্মেলন করে দ্রুত টাকা প্রদানের দাবী জানায়।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test