E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্কুল ছুটি ঘোষণা

আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ে ৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ

২০১৮ আগস্ট ০১ ১৭:০২:০৩
আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ে ৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিকভাবে ৮জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরায় উপজেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সহপাঠিদের অসুস্থতায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে না যাওয়ায় দায়িত্বহীনতার কারনে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।  

বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত ক্লাস চলাকালে বুধবার এগারোটার দিকে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমি আক্তার, সোহাগী আক্তার, শান্তা আক্তার, জাহিদ আকন, ফারদিন হাওলাদার, সুমন সরদার, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মীম আক্তার, সৃষ্টি রায় অজ্ঞান হয়ে পরে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আফরোজা খানম তার মেয়েকে সুমিকে নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। অন্যদিকে স্থানীয়রা সোহাগী ও শান্তাকে দুঃস্থ মানবতা হাসপাতালে, মীম আক্তার ও সৃষ্টি রায়কে স্থানীয় মারিয়া মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করে। অপর অসুস্থ শিক্ষার্থী জাহিদ আকন, ফারদিন হাওলাদার, সুমন সরদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থী অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পরলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার মন্ডল জানান, তিনি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকেরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে না যাওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে একইভাবে ৪জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরেছিল। শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে উপজেলা হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে তিনি জানান, ঘটনা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীসমি আক্তারের জ্ঞান ফিরেছে।

তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে অপর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে মারিয়া মাদার ক্লিনিকে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইউএনও’র নির্দেশের পরেও নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের দেখতে না গিয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (৪টা ৩০মি.) ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন।

বিকেলে অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে যান প্রধান শিক্ষক উজ্ঝল কুমার মন্ডল। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সুমির জ্ঞান ফিরলেও তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে চিকিৎসকেরা পরবর্তি ব্যবস্থা নেবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো.আলতাফ হোসেন জানান, এটা একটি মানসিক রোগ। শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এটাকে ফাংশনাল ডিজ অর্ডার বা এইচপিআর বা হিস্টিরিয়া রোগ বলে। এরোগে একজন আজ্ঞান হয়ে গেলে তার দেখাদেখি অপরজনও অজ্ঞান হয়েযায়। তবে অসুস্থ শিক্ষার্থী এখন ভাল আছে। বিষয়টি তিনি মনিটরিং করছেন বলেও জানান।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test