E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের আকাল

২০১৮ সেপ্টেম্বর ২১ ১৫:১৮:৫৩
চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের আকাল

উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না ইলিশের। চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশ না পেয়ে খালি হাতেই ফিরছেন জেলেরা। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় কোনো বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছেনা বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলেরা জানান, এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অন্যান্য বছরে এ সময়ে পদ্মায় অনেক ইলিশ পাওয়া গেলেও এবার তা নেই। চাঁদপুরের নদ-নদীতে সারাদিনেও তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে আহরিত মাছে ভরপুর এখন চাঁদপুর মাছঘাট। গত ক’দিন হাজার হাজার মণ ইলিশ বিক্রির জন্যে বিভিন্ন আড়তে আসছে। যার সবগগুলোই সাগরের।

সরেজমিনে জানা যায়, মাছের সাইজ, তাজা না বরফ দেয়া এ হিসেবে মাছের দাম উঠানামা করছে। ঘাটে মাছের দাম কম হবে এ আশায় অনেকে মাছ কিনতে এসে দাম শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এখনও মধ্যম আকারের ইলিশের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে আকারে ছোট কেজি সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।

ছোট রব চোকদারের আড়তের কাছে মাছ বিক্রেতা খন্দকার মুকবুল হোসেন বলেন, ভর সিজন (ভরা মৌসুম) হওয়া সত্ত্বেও ইলিশের দাম তুলনামূলক কমে নাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর ঘাটে প্রচুর ইলিশ দেখা যায়। হাজী আঃ মালেক খন্দকার, মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, হাজী শবে বরাত, ইকবাল বেপারী, কুদ্দুছ খাঁ ও উত্তমদের আড়তে হাতিয়া ও দৌলত খাঁ এলাকার প্রচুর ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। নান্টু, কাদির, দেলু খাঁ, আনোয়ার গাজী, খালেক, ছানা, বাবুল হাজী, মালেক খন্দকারসহ আরও অনেক চালানি সেই মাছ আড়ত থেকে কিনে প্যাকেট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

দৌলত খাঁর মাছের বেপারী ইউসুফ ও হাতিয়ার মফিজ মাঝি জানান, ১৩ থেকে ১৪ মণ মাছ খন্দকারের আড়তে দিয়েছেন এবং ২৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন তিনি। এসব ইলিশ সাগরের। ভোলার নদীতে এখন তুলনামূলক ইলিশ মাছ নাই।

ভরপুর ইলিশ আমদানিতে কেন মাছের দাম কমছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার জানান, শুক্রবার চাঁদপুর ঘাটে এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। মাছের দামও কমেছে। বুধবার ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা মণ দরে অর্থাৎ ৫০০ থেকে সোয়া ৫০০ টাকা কেজিতে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। আগের চেয়ে ইলিশের দাম কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।

সমিতির পরিচালক খালেক বেপারী জানান, লোকাল নদীর মাছ না পাওয়ায় চাঁদপুর ঘাট গোয়ালন্দ হয়ে গেছে। এখানের সব মাছ সাগরের। অভিযানের আগে সাগরের কিছু মাছ চাঁদপুর আসছে। আমরা ব্যবসায়ীরা সুবিধায় নেই।

(ইউএইচ/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test