E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুর-২ : নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বদিউজ্জামান বাদশার বিশাল শোডাউন

২০১৮ অক্টোবর ২৯ ১৫:০৯:২৪
শেরপুর-২ : নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বদিউজ্জামান বাদশার বিশাল শোডাউন

শেরপুর প্রতিনিধ : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের তথা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, নকলা-নালিতাবাড়ীর গনমানুষের আস্থাভাজন নেতা, উপজেলা সাবেক সফল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ও নালিতাবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার পক্ষে ইতিহাসগড়া বিশাল শো-ডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২৮ অক্টোবর রবিবার বিকেলে নকলা উপজেলার গড়েরগাঁও মোড় থেকে শুরু হয়ে রাত ৭টা পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মোটর সাইকেল ও পিকআপ ভ্যানযোগে শোডাউনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদর্শন করে। এর আগে নকলা ঝুমুর সিনেমা হলচত্তরে এক সমাবেশে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আলহাজ্ব কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. সেকান্দর আলী কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার গোলাম ফারুক প্রমুখ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

বদিউজ্জামান বাদশা দৃঢ আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসনটি ধরে রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ। নতুবা ২০০১ সালের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি নিশ্চিত অন্য দলের হাতে চলে যাবে। এটা আওয়ামী লীগের ঘাটী তথা নকলা-নালিতাবাড়ী উপজেলাবাসীর কারও কাম্য নহে। তিনি আরও বলেন, আমাদের নকলা নালিতাবাড়ীর আওয়ামী নেতৃত্বে একটি ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু আজ নিজেরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ি করাসহ বিভিন্ন ভাবে সাধারন জনগনকে, এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে।

নেতা কর্মীরা আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এরমধ্যে কোন এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা সদা ভয়ে থাকেন! কিন্তু কেন? আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা সত্ত্বেও, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয় থাকবে কেন? মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ের আসনে এমন অবস্থার জন্য কে দায়ী? কেন সাধারন জনগন আজ মন্ত্রী মহোদয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন? কর্মীদের রক্তের বিনিময়ে কে আজ কোটিপতি হচ্ছে? কে জিরু থেকে হিরু বনেগেছেন? এমন সব প্রশ্নের জবাবে তথা নিজেদের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসনে এক মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আহবান জানান তিনি। জনগন যাকে চাইবেন, তাকেই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয় মনোনয়ন দিবেন। এই প্রস্তাবে হয়তবা শ্রদ্ধেয় কৃষি মন্ত্রী রাজনৈতিক কারনে রাজী হলেও, পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন সেইসব সুবিধা ভোগী নেতারা, যারা মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গীয়ে কোটিপতি হয়েছেন। সেই সাধুরা কৃষি মন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না বলেই, তারা আজ মহাচিন্তায় আছেন।

তার পরেও তিনি সেইসব নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন আমরা এক হই, কারন আমরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। কৃষিমন্ত্রী আজ আছেন, কাল চলে যাবেন। তখন কিন্তু আমাদের একসাথে থাকতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগের, আওয়ামী লীগ আমাদের। আমরা অন্যকোন দল থেকে আসা বা বহিরাগত নহে। যতদিন আছি, ততদিন আওয়ামী লীগের হয়েই থাকব। সুবিধা ভোগের জন্য দল ত্যাগ করা বা নেতাকর্মীদের বাহবাহ দিয়ে সুবিধা নেওয়ার অভ্যাস প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বভাব নহে। আমি বাদশা একসময় যার কাছে সূর্যসন্তান নামে খ্যাত ছিলাম, সেই আমিই আজ তাঁর পথের কাটা হয়ে গেছি। এর পিছনের কারন সবাই জানেন, তাহলো আপনাদের তথা জনগনের চাহিদা পূরনে আমি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাওয়া।

জনগণের চাওয়া পূরনে আমি সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। যেমনটা বাংলার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করে গেছেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন। আমি তাদের অনুসারী হয়ে তাদের স্বাভের বিপরীতে থাকতে পারিনা। আমাকে ভালোবেসে জনগন আজ আমার পক্ষে মাঠে নেমেছেন, তাই আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারন জনগনের জন্য সবধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। বিশেষ করে জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু জনগনের পক্ষে আছেন, তাঁর চিন্তা চেতনা যেহেতু জনগনরে উন্নয়ন নিয়ে; সুতরাং আমি মনোনয়ন পাবই পাব ইনশাল্লাহ। বাদশা তাঁর বক্তব্যে এমনটাই আশা ব্যক্ত করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানীত সদস্য অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা নন, তিনি আজ বিশ্বনেত্রীর খেতাব পেয়েছেন। তিনি অন্যান্য নেতাদের মতো কথার বরখেলাপ করবেন না। তিনি যেহেতু বলেছেন যে, জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দিবেন না। জনগন যাকে চাইবেন, তাকেই তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন। অতএব, নকলা-নালিতাবাড়ীর জনগনের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী, সবার চাওয়া পূরণে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেত্রী জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় নেতৃত্ব বজায় রাখতে বদিউজ্জামান বাদশাকেই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন ইনশাল্লাহ।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব সরকার গোলাম ফারুক বলেন, এই আসনের সাধারন জনগন আর ভাড়াটিয়া নেতৃত্ব দেখতে চান না। নকলা-নাািলতাবাড়ীর ভোটাররা স্থানীয় নেতৃত্ব দেখতে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আজ এই শো-ডাউনের মাধ্যমে সুষ্পষ্ট হয়েগেছে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি রক্ষা করতে জনবান্ধব নেতা আলহাজ্ব কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশাকে মনোনয়ন দিবেন। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাঠ জরিপ শেষে জনগনের চাওয়া পুরণে সুনজর রাখবেন বলে আরও আগেই জানান দিয়েছেন। অতএব, আল্লাহর রহমতে সবার দোয়ার বরকতে জনগনের চাওয়া পূরণে বদিউজ্জামান বাদশা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবেন ইনশাল্লাহ। এভাবেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাঁরা। এই শো-ডাউনে নকলার যুব সমাজসহ আওয়ামী প্রেমীদের সঙ্গবদ্ধ করতে নিরলস কাজ করেছেন সাবেক ছাত্র নেতা ফারুকুজ্জামান ফারুকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তবে নকলার যুব সমাজকে এক ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ফারুকুজ্জামান ফারুকের অবদান অপরিসীম বলে বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকার করে নেতাকর্মীরা।

জাতির পিতা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২১ ও ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন বক্তারা। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী)’র জনগনের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের জন্য আলহাজ্ব কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার পক্ষে দোয়া ও সমর্থন কামনাসহ সবার কাছে সার্বিক সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন দাতা সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা। এসময় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আগত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী এবং আওয়ামী প্রেমী অগণিত সমর্থক ভোটার উপস্থিত ছিলেন।

(এসআর/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test