E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশা এনজিও’র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ

২০১৮ নভেম্বর ২৫ ১৭:২৫:১১
আশা এনজিও’র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : আগৈলঝাড়ায় রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ উঠেছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী এনজিও “আশা”র বিরুদ্ধে। 

তিন দিনের ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প এর ছদ্মাবরণে আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র কর্মীসভার আয়োজন বন্ধ করেছে সহকারী রিটার্নিং অফিসার। অনুষ্ঠানের খবর জানেন না অনুষ্ঠানের সভাপতি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক এনজিও “আশা”র আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন ব্রাঞ্চ রবিবার ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর তিন দিন ব্যাপি সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাদের শাখা অফিসে ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প এর আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজকরা একটি ব্যানারও তৈরী করেন। তাদের তৈরী করা ব্যানারে সভাপতি করা হয় ওই এনজিও’র রিজিওনাল ম্যানেজার বিধান চন্দ্র সিকদার, প্রধান অতিথি করা হয় ছাব্বির উদ্দিন লিটনকে ও বিশেষ অতিথি করা হয় গৈলা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে জেলা বিএনপি (উঃ) যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন লাল্টুকে। তবে ওই প্রোগ্রাম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ঠ অনেকে অবগত নয়।

স্থানীয় গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু জানান, তাকে কেউ অনুষ্ঠানের খবর জানায় নি। ভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প এর আড়ালে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে “আশার’’ ব্যানারে আগৈলঝাড়ায় বিএনপি একটি কর্মীসভা করতে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান ঘটনা জানতে পেরে বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাসকে অবহিত করেন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যানারে উল্লেখিত সভাপতি এনজিও আশা’র রিজিওনাল ম্যানেজার বিধান চন্দ্র সিকদার বলেন, তিনি তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। তার মধ্যেও এরকম কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর তিনি জানেন না।

এনজিও আশা’র গৈলা ইউনিয়ন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ওমর ফারুক প্রশাসনসহ কাউকে না জানিয়ে ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও ভুল স্বীকার করে বলেন, তারা চেয়ারম্যানের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। প্রশাসনের নির্দেশে ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প বন্ধ বন্ধ করেছেন তারা। কে এই ছাব্বির? যার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হবার কথা ছিল সেই ছাব্বির উদ্দিন লিটন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ছাবিবরের সাথে তার কয়েক মাসআগে পরিচয় হয়। সেই কারণে ছাব্বির তাঁর বিশেষ পরিচিত লোক বিধায় তাকে প্রধান অতিথি করা হয়। ছাব্বিরের বাড়ি উপজেলার সেরাল গ্রামে।

প্রধান কার্যালয় থেকে শুধুমাত্র তাদের ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প এর তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়, বাস্তবায়নে স্থানীয় বাকী কাজ তারাই সম্পন্ন করেন। প্রতিদিন তাদের ৪৫জন করে রোগী দেখার টার্গেট ছিল বলেও জানান তিনি।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, তফসিল ঘোষণার পরে তাকে অবহিত না করে এক জায়গায় লোক সমাগম করার খবর পেয়ে তিনি ফিজিও থেরাপি ক্যাম্প বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশ প্রদান করেছেন। তার পরেও ঘটনার অন্তরালে রাজনীতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তিনি।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test