E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পাবনা-৪ 

ধানের শীষের প্রচারণায় অংশ নিতে অনীহা তৃণমূল নেতাদের, সুদৃঢ় অবস্থানে নৌকা

২০১৮ ডিসেম্বর ১৪ ১৬:৩৪:৫২
ধানের শীষের প্রচারণায় অংশ নিতে অনীহা তৃণমূল নেতাদের, সুদৃঢ় অবস্থানে নৌকা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা-৪ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে হাবিবের ধানের শীষের প্রচারণায় অংশ নিতে তৃণমূল নেতারা অনীহা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সাংগাঠনিক অবস্থা সুদৃঢ় করে মনোনয়ন প্রত্যাশিসহ নেতা- কর্মীরা প্রতিদিনই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের নৌকার জন্য ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

বিএনপি নেতা ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব চুড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেলেও ঈশ্বরদীতে তৃণমূল নেতা-কর্মিরা মূখ ফিরিয়ে নিযেছেন। যে কারণে শুক্রবার পর্যন্ত ঈশ্বরদী শহরের কোথায়ও হােিবর কোন পোষ্টার চোখে পড়েনি। এ অবস্থায হাবিব তৃণমূল নেতাদের নির্বাচনের মাঠে নামানোর চেষ্টা করে নিস্ফল হয়ে জেলা কমিটির স্মরণাপন্ন হন। জেলা বিএনপি বৃহস্পতিবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির ৫ জন করে নেতা নিয়ে সমাঝোতার জন্য পাবনায় বৈঠক করেন। বৈঠকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসক গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলা কমিটি নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের অনুরোধ জানান। শুধুমাত্র উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রার্থি সিরাজুল ইসলাম সরদারসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় সকলেই হাবিবের ধানের শীষের প্রচরণায় অংশ নিতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এই নেতা জানান, বিএনপি’র তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক সংসদ সিরাজুল ইসলাম সরদার মনোনয়ন না দেয়ায় চরম হতাশ। এখানে বিএনপি ও অংগ সংগঠনর সিংহভাগ নেতা-কর্মীই সিরাজ সরদারের মনোনয়নে একাট্টা ছিলেন। ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে হাবিব বনাম সিরাজের দ্বন্ধ এই আসনে বিরাজমান। যেকারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজেই হাবিব বিভিন্ন স্থানে দলীয় সভা করে মান-অভিমান ভাঙ্গানোর প্রচেষ্টায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ধানের শীষের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই নাজুক।

এদিকে নৌকার পোষ্টারে ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়া ছেঁয়ে গেছে। ধানের শীষের পোষ্টার লাগানো এখনও শুরু না হওয়ায় কোথায়ও কোন পোষ্টার চোখে পড়েনি। এরই মধ্যেই সব এলাকায় ভোটারদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে নৌকার ভোট চাওয়া শুরু হয়েছে। মন্ত্রী শরীফ প্রতিদিনই বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে বৈঠক করছেন। পেশাজীবীরাও নৌকার পক্ষে মাঠে ভোট চাইছেন।

উল্লেখ্য, স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালে তদানিন্তন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থি সিরাজ সরদার বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ হাবিবকে মনোনয়ন না দিয়ে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা জনাব শামসুর রহমান শরীফকে মনোনয়ন দিলে হাবিব বিএনপিতে যোগদান করেন।

হাবিব বিএনপিতে যোগ দিলেও ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে সিরাজ সরদারকেই ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হয়। ২০০১ সালে হাবিবুর রহমান হাবিব বিদ্রোহী প্রার্থি হয়ে কুড়াল’ প্রতিকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। তবে, ১৯৯৬ হতে এযাবত পর পর ৪ বার বর্তমান ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি বিএনপি প্রার্থিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test