‘দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত, স্বাধীনতার পক্ষে আর বিপক্ষে’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতার পক্ষে আর বিপক্ষে। নৌকা স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। দেশের উন্নয়ন ও শান্তি চাইলে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। অন্যদিকে আরেকবার রামশীল যেতে চাইলে ওদের ভোট দিন। কারণ ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ৫০ হাহজার সংখ্যালঘু পরিবারকে নির্যাতন করে রামশীল পাঠিয়েছিল। 

এখন ১৭ বছর পর সেই বিএনপি দলের প্রার্থী (জহির উদ্দিন স্বপন) নিজের বাড়িতে সংবাদ সন্মেলনে ক্ষমা চেয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আবার ক্ষমতায় গেলে বিচার করার কথা বলছে। সে (স্বপন) নির্যাতনকারীদের অন্যতম স্ব-ঘোষিত অপরাধী। যে জনগনের নিরাপত্তা দিতে পারেনা; তার ভোট চাওয়ারও কোন অধিকার নেই !

বিএনপি জোটের সময়ে তাদের নির্যাতনে বাড়ি থাকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীরা। ওরা ক্ষমতায় বসে সারা দেশে আওয়ামীলীগের ২৬হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে। ওরা দেশ ব্যাপি জন্ম দিয়েছে জঙ্গী আর সন্ত্রাসবাদের। ওদের সময়ে একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা করেছে। বোমায় হত্যা করেছে দুই জন বিচারককে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন“ ওরা অধম বলে আমরা উত্তম হব না কেন”? তাই আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না বলেই ওদের অত্যাচার আর নির্যাতনের সমুচিত জবাব দেয়নি আওয়ামীলীগ।

আওয়ামীলীগের এই দশ বছরের সময়ের মধ্যে বিএনপিসহ অন্যান্য কোন দলের নেতা কর্মীকে বাড়ির বাইরে ঘুমাতে হয়নি। ওরা ক্ষমতায় গেলে দেশের এই উন্নয়ন বন্ধ করে দেবে। তাই বিজয়ের মাস ৩০ ডিসেম্বর, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরেকটি বিজয় ও দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাতির পিতার ভাগ্নে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

নির্বাচনী উঠান বৈঠকে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সদস্য ও ঢাকা মহানগর জাপার সদস্য এ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী প্রধান অতিথি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

সভায় বরিশাল-১ আসনে বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ প্রধান অথিতিকে ফুল দিয়ে নৌকার সমর্থনে আওয়ামীলীগের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।

উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আবু তাহের মিয়ার সভাপতিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ সরদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যুগ্ম সম্পাদক মুনসুর আহম্মেদ, জেলা সহকারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, সহকারী কমান্ডার এসএম তাজুল ইসলাম, গৌরনদী পৌর মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ, আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী হাওলাদার, মোজাম্মেল হক হাওলাদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খানসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮)