E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ার জনপদে এবারও আতংকিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

২০১৮ ডিসেম্বর ২৭ ১৪:৩১:০৭
আগৈলঝাড়ার জনপদে এবারও আতংকিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

তপন বসু, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (বরিশাল) : নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই অজানা আতংক আর উৎকন্ঠা বাড়ছে আগৈলঝাড়া উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দা ও ভোটারদের। ২০০১ সালে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতনকারীরা এখন আওয়ামীলীগের অংশ হওয়ায় নির্বাচন পরবর্তী ওই সকল হাইব্রিড নেতাকর্মী ও বিএনপি’র হামলার আশংকায় চরম উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গ্রামের ভোটারদের মাঝে। 

অন্যদিকে ২০০১ সালে জামাত জোটের জুলুম নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ১০ বছর পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে। ক্ষোভ রয়েছে নির্যাতীত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যেও।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দরা বলেন, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আগৈলঝাড়ার সংখ্যালঘু জনপদের লোকজনের উপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতণ। ওই নির্যাতন থেকে বাদ পরেনি আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরাও। তাদের সরকারী রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে, হাট-বাজারে গেলেও দিতে হয়েছে চাঁদা। এক কথায়, আওয়ামীলীগের লোকজন ছিল “নিজ ভূমে পরবাসী”।

উপজেলার রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাজিহার গ্রামের কমলা রাণী রায় ২০০১ সালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ওই বছর ৪ অক্টোবর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তার বসত ঘরসহ একই বাড়ির ১৮টি বসত ঘর, একই এলাকার বাবুলাল মুন্সির ঘর, টিভিসহ আসবাবপত্র কুপিয়ে ভাংচুর করে স্থানীয় বিএনপি জামাতের ক্যাডাররা। হামলা চালানো হয় বাড়ির নারী ও পুরুষদের উপর। একইভাবে রাজিহার ছাড়াও উপজেলার রামানন্দেরআঁক, বাশাইল, গোয়াইল, গৈলা, পতিহার, কোদালধোয়া, বাকাল, বাটরা, বাহাদুরপুর, আমবাড়ী, ফেনাবাড়ী, নওপাড়া, জলিরপাড়, বড়মগরা, সরবাড়ী, জোবারপার, পাকুরিতাসহ পার্শ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার চাঁদশীসহ বিভিন্ন গ্রামের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামের লোকজনের উপর তান্ডব চালায় তারা। তাদের হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রামশীল গ্রামে অন্তত পঞ্চাশ হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আশ্রয় নেয়। এক দিনে প্রায় আড়াই’শ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় জোট বিএনপি। ২০০১ সালের হামলাকারীরা এখন আওয়ালীলীগ হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে নৌকায় ভোট চাইছে। নির্বাচনের পর ওই হাইব্রিড নেতা কর্মীদের দ্বারা পুণঃরায় আক্রান্তর ভয়ে আতংকে রয়েছেন তারা।

জোট ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছিলেন ওই বাড়ির রেভা রানী রায়, বিধান রায় খগেন রায়ের স্ত্রী বেলা রায় ও হরিহর রায়ের স্ত্রী অনিমা রায়। তাদের হামলার স্বীকার হয়ে দুই সন্তান নিয়ে রাতের আধাঁরে পানি সাঁতরে রামশীল গ্রামে আশ্রয় নেয় তারা। বেলা রায় ও অনিমা রায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের পরিবার নিয়ে আতংকের কথা জানালেন।

জামাত বিএনপি জোট ক্যাডারদের তান্ডবের খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় (উল্লেখযোগ্য ইটিভি, আজকের কাগজ, জনকণ্ঠসহ) প্রচার হলে সারা দেশে সমালোচনার মুখে পরে ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপি। বিএনপির রোষানলে পরেন স্থানীয় সংবাদ কর্মী তপন বসুসহ অনেকেই। সহিংসতার সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিত তপন বসু’কে জোট ক্যাডারদের কারণে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকতে হয় ছয় মাস। সাংবাদিক নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় বিভাগীয় শহর বরিশালে সাংবাদিক শওকত মিল্টনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন। ওই কনভেনশনে জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি জামাতের হামলায় পঙ্গু প্রবীর শিকদারও উপস্থিত ছিলেন। মিত্যা মামলার শিকার আগৈলঝাড়ার চার সাংবাদিক। ওই কনভেনশনে এমপি জহির উদ্দিন স্বপনকে “সাংবাদিকদের শত্রু” আখ্যায়িত করে রাষ্ট্র ও বহিঃবিশ্বের কাছে সুবিচার কামনা করেন সাংবাদিকরা।

আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের কারণে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী জনসভা করতে বিএনপি জোটের মনোনীত নবনির্বাচিত এমপি জহির উদ্দিন স্বপনকে সাথে নিয়ে ১২ই অক্টোবর আগৈলঝাড়ায় আসতে বাধ্য হন।

ওই দিন উপজেলার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠিত জনসভায় এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতিত ইউপি সদস্য কমলা রাণী রায় বিএনপি ও জামাতের নেতা কর্মীরা নজরবন্দি করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কমলা রানীকে বক্তব্যর জন্য দেয়া হয় মাইক। কমলা মঞ্চে উঠেই ‘হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেন।’ নির্যাতীত কমলা বিএনপি’র শেখানো মিথ্যা কথা না বলে তার উপর ও এলাকায় ঘটে যাওয়া বিএনপি ক্যাডারদের তান্ডবের চিত্র জনসভায় তুলে ধরেন।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বিএনপির নেতারা তৎক্ষনাৎ জনসভা শেষ করেন। কোন রকমে সদর থেকে পালিয়ে আসেন কমলা। রাতে কমলার বাড়িতে হামলাকারীদের নিয়ে পুলিশ কমলার কাছে হামলাকারীদের নাম জানতে চায়। হামলাকারীরা পুলিশের সাথে থাকায় কমলা ভয়ে সেদিন কারো নাম বলতে পারেনি।
কমলার প্রতিবেশী রাজিহার গ্রামের ইউনুচ হাওলাদারের স্ত্রী অজিফা খাতুন বলেন, তার ছেলে আাওয়ামীলীগ করার কারণে বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে রাখে তারা। একই গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা কালাম হাওলাদার জানান, বিএনপি জোট ক্যাডারদের নির্যাতনে তিনি প্রাণ ভয়ে পার্শ্ববর্তী এক হিন্দু বাড়িতে আত্মগোপন করেন। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাকে ধরে এনে বাজারে বসে মারধর করে।

গত ১৭ ডিসেম্বর বরিশাল -১ আসনে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদী উপজেলার সরিকল গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ২০০১ সালে নির্যাতনের ১৭ বছর ঘটনার দায় স্বীকার করে সেই সময়ের এমপি হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করে নির্যাতিত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন। ওই সন্মেলনে তিনি আবার দ্বায়িত্ব পেলে ১৭ বছর নয় ২৭বছর পরে হলেও অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার কথা ব্যক্ত করেছেন !
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ সালের ১ থেকে ২৭ অক্টোবর সময় পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৭ জন খুন হন। ধর্ষিত হন ৬১ জন। যৌন নিপীড়নের শিকার হন ৬৪ জন। হামলায় আহত হন ৬শ ৫০জন, অপহৃতের সংখ্যা ১৩। এছাড়া সংখ্যালঘুদের অসংখ্য দোকানপাট ও বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় সব ঘটনাতেই নির্বাচনে জয়ী বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। এর কোন ঘটনার জন্যই মামলা নেয়নি থানা।

২০০১ সালে তৎকালীন আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা ছিলেন সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের খুলনা বিএল কলেজে অধ্যয়নরত সহপাঠী। ফলে ওই সকল নির্যাতনের কোন ঘটনায় থানায় একটি মামলাও করতে পারেনি নির্যাতীতরা। পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি কোন মামলা।

২০০২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অব্যাহত ঘটনা ঘটে। এর কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট করেছিল। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালে গঠিত হয় তদন্ত কমিশন।

আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল ‘‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন, সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মনোয়ার হোসেন আখন্দ, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বানারীপাড়াসহ, ভোলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে নির্যাতিতদের কাছ থেকে বর্ননা ও ঘটনার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। আগৈলঝাড়াস্থ জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” তদন্ত কমিশনে শুধু আগৈলঝাড়াতেই ৫৮৮টি অভিযোগ জমা পরেছিল।

এর এক বছর পর কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্ব-স্ব থানাকে অভিযোগের তদন্ত ও মামলা রুজু করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তখন কোনো মামলা রুজু করা হয়নি। বরং এ নিয়ে তদন্ত শুরু হলে সংশ্লিষ্ঠ এলাকায় দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। এক পর্যায়ে ধামাচাপা পড়ে যায় তদন্ত কমিশনের সকল কার্যক্রম।

নির্যাতীতদের অভিযোগ নিলেও সরকার সংখ্যালঘু ও আওয়ামীলীগ নির্যাতনকারী কোন অপরাধীরই বিচার না করায় আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুরোনো তান্ডব আতংকে রয়েছে জনপদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা।

কমলা রানী রায় আক্ষেপ করে বলেন, নামে মাত্র তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিলো। ওই কমিশনে নির্যাতিতরা বিচারতো পায়ইনি ববং বিচার চেয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের কাছে পুনরায় “শত্র“ হয়েছেন। ২০০১ সালের নির্যাতিত আগৈলঝাড়ার শেফালী রানী সরকার, পাশবিক নির্যাতনের শিকার রেনুকা অধিকারী ওরফে কালা বউ, বিল্বগ্রামের কালিয়া দমন গুহ, খাঞ্জাপুরের প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত, গেরাকুলের হেলাল মিয়া, হরিসেনার নিহত ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম বুলেটের পিতা রহমত উল্লাহ খলিফাসহ অসংখ্য আক্রান্ত ব্যক্তিরা ২০০১ সালের নির্মম নির্যাতন, হত্যা, হামলা, মামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও লুটের ঘটনায় ওইসময় তারাসহ অন্য নির্যাতিতরা জোট ক্যাডারদের বিচারের আশায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হয়েছেন। অতঃপর যাদের জন্য এ নির্যাতন হয়েছিলো সেই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিরাও তাদের অত্যাচারের কোন বিচার করেনি। বরং এখন অনেক ক্ষেত্রেই হামলাকারীদের সাথে স্থনীয় জনপ্রতিনিধিদের ওঠাবসা।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্থী বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোটের ক্যাডারদের হাতে গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের ৩০টি, বিল্বগ্রাম এলাকার ২৫টি, চাঁদশী গ্রামের ২০টি, খাঞ্জাপুর গ্রামের ১৫টি, ইল্লা গ্রামের ৫টি, গেরাকুল গ্রামের ৫টি ও আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার গ্রামের ৫০টি, রামানন্দেরআঁক গ্রামের ২৫টি, বাহাদুরপুর গ্রামের ৩০টি, বাকাল গ্রামের ২৫টি, পতিহার গ্রামের ৩০টিসহ অসংখ্য পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। জোট ক্যাডারদের হিং¯্র থাবা থেকে এসব এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের রক্ষা করতে অধিকাংশ মেয়েকে গোপনে ভারতেও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আগৈলঝাড়ায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১২৩৩৪জন। এরমধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটার ৫১৩৬০ জন, বৌদ্ধ ভোটার ৬৪ জন ও খ্রিষ্টান ভোটার ২১৪৬ জনসহ মোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৫৩৫৭০ জন ভোটার রয়েছেন।

আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, শুধু সংখ্যালঘু নয় সকল ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। নির্বাচন পরবর্তি কোন সহিংসতার আঁচ নেই বলে আরও জানান, যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ বাহিনীকে সকলের রিনরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে।

বরিশাল -১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাতির পিতার ভাগ্নে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ -এমপি বলেন, সময় পাল্টে গেছে। ২০০১ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ দেশে আর নেই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার জন্য আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছে। তারপরেও প্রশাসন তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test