E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় বিনোদনের নামে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৬:৪৮:১৬
আগৈলঝাড়ায় বিনোদনের নামে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় সার্কাসের হাতি দিয়ে শিশুদের বিনোদনের নামে চলছে অন্য রকম চাঁদাবাজি। হাতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হচ্ছে মাহুতের ইচ্ছানুযায়ি টাকা। মাহুতের চাহিদানুযায়ি টাকা না দেয়া পর্যন্ত সেখান থেকে নড়ছে না হাতি, টাকা না পেলে দেয়া হচ্ছে হাতি দিয়ে হুংকার।

শনিবার দিনভর আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের বাজারে একটি হাতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবেই টাকা আদায় করতে দেখা গেছে হাতির পরিচালনাকারী মাহুতকে। লম্বা শুঁড় উঁচিয়ে হাতির টাকা আদায়ের দৃশ্য দেখে শিশুসহ কৌতুহলী জনতা ছুটছেন হাতির পিছু। তবে অনেকে আবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িতে গিয়েও হাতি দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাতি পরিচালনাকারী (মাহুতের) চাহিদা মত টাকা না দিলে হাতি দিয়ে দেয়ানো হচ্ছে হুংকার। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে মাহুত হাতিও নড়াচ্ছে না। চাহিদানুযায়ি টাকা না দেয়ায় বাশাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম রব এর বাড়িতে হাতিকে পা দিয়ে গর্ত খোড়ার নির্দেশ দেয় মাহুত। এক পর্যায়ে মাহুতের দাবি অনুযায়ি হাতির ভয়ে অর্থ দিতে বাধ্য হন সাইফুল। এভাবেই গ্রামের সহজ সরল লোকজনকে হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে মাহুত তার চাহিদা মত টাকা আদায় করছে। টাকা পেয়ে সন্তুস্ট হলে হাতি তার লম্বা শুর দিয়ে টাকা বা খাবার প্রদানকারীকে সালাম বা নমস্কার দিচ্ছে।

হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত আব্দুল্লাহ জানান, তারা গোপালগঞ্জ জেলায় সার্কাস খেলা দেখাতে এসেছেন। তাই যাওয়ার আগে হাতির জন্য কিছু টাকা উঠাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা আনন্দের সাথে হাতিকে বিভিন্ন খাবার ও ১০/২০ টাকা দিচ্ছেন।

এভাবে টাকা নেয়া ঠিক কি না এমন প্রশ্ন করলে মাহুত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, তারা এটাকে অন্যায় মনে করেন না। কারণ, হাতির তো জীবন আছে, তাদের খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দিন শেষে চার-পাঁচ হাজার টাকা আয় করা যায়। আয়ের অর্ধেক হাতির জন্য বাকি টাকা মালিক পাবে।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test