E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আদালত থেকে সাবেক এমপি রানা হাসপাতালে 

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৯:০২:৫৯
আদালত থেকে সাবেক এমপি রানা হাসপাতালে 

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর বুকে ব্যাথা অনুভব করায় তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার সময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালের ৩১৩ নং কেবিনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় বাদিপক্ষের আরো ১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রাশেদুল হাসান ও কার্ডিওলজি ডা. মোফাজ্জল হোসেন তুষার সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার দায়িত্বে আছেন। রানার অবস্থা আগের চেয়ে একটু উন্নত হয়েছে। মৌখিক ভাবে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আদালত কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ২০ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার স্বাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন স্বাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজিরা প্রদান করে এবং স্বাক্ষ্য শেষ করে। পরে বিচারক আগামী ৪ এপ্রিল এ মামলার অন্যান্য সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে আদালতে মোট ১৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। এরপর সাবেক এই সংসদ সদস্য অসুস্থতাবোধ করলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৩১৩ নাম্বার কেবিনে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

(আরকেপি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test