E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় চাচার মৃত্যু, ঘাতক দুই ভাতিজা

২০১৯ এপ্রিল ১৯ ১৯:০৬:০১
কাপাসিয়ায় চাচার মৃত্যু, ঘাতক দুই ভাতিজা

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : চাচা শাহ্জাহান গাজীর আদরের  ভাতিজার লোহার রডের  এলোপাথারী ভাবে আঘাতেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আপন ভাই তাজউদ্দিনের দুই পুত্র দেলোয়ার ও মোজাম্মেলই তার হত্যাকান্ডের ঘাতক  বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। 

জমির সীমানা সংক্রান্ত তুচ্ছ একটি ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের মেরুয়া গ্রামে। আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হয় শাহ্জাহান গাজীর ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কথা এলাকায় ছরিয়ে পড়লে শোকের মাতম শুরু হয় পরিবারের। পরিবারে এক মাত্র উপাজনশীল ব্যাক্তিই ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে পুরো সংসারে ধস নেমে পড়েছে। দিশাহারা হয়ে পড়েছে গাজীর পরিবার। ঘটনার পর থানা পুলিশ ছাড়া জনপ্রতিনিধি বা সুশিল সমাজের কেউ আসেনি গাজীর পরিবারকে শান্তনা দিতে।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে মেরুয়া গ্রামের শাহজাহানের (৪৮) সাথে তার আপন বড়ভাই তাজউদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত সামান্য জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ওইদিন সকালে বাড়ীর পাশে এলাকার লোকজন নিয়ে জমি সংক্রন্ত বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছিল এক পয্যায়ে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের উত্তেজিত হয়ে ভাতিজা ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা লোহার রড দিয়ে চাচার মাথা ও শরীরে এলো পাথারি ভাবে আঘাত করতে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। সেখানে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনায় মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে শাহজাহান গাজীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার দিনই নিহতের পুত্র শামীম বাদী হয়ে বড়ভাই স্ত্রী সন্তানসহ ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

নিহত শাহজাহান গাজী মেরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর গাজীর পুত্র। তার স্ত্রী ও ৪ সন্তান রয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত এবং জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

(এসকেডি/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test