E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁর মান্দা ফেরিঘাটের যাত্রী ছাউনি দোকান ঘরের জন্য লিজ

২০১৪ জুলাই ২৫ ১৯:৩৫:১৯
নওগাঁর মান্দা ফেরিঘাটের যাত্রী ছাউনি দোকান ঘরের জন্য লিজ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা মান্দা ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একমাত্র যাত্রী ছাউনিটি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে দোকানঘরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে এটি লিজ দিয়েছেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে মান্দা ফেরিঘাট ব্রীজের পশ্চিমপাশে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একমাত্র যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হয়। এতে পুরুষ ও নারী যাত্রীদের জন্য বসার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীরা এখানে বসে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। আবার অবসরে কেউ কেউ বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। এ ছাড়াও ঝড়-বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল ওই যাত্রী ছাউনিটি। সম্প্রতি ওই যাত্রী ছাউনিতে উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মাইনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সার্টার লাগিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে মাইনুল ইসলাম মিস্ত্রি ওইসব সরঞ্জামাদি নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন। তিনি আবারো ওই যাত্রী ছাউনি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে জানা গেছে।

নওগাঁ জেলা পরিষদের স্মারক নম্বর নজেপ/প্রশা/২৫/৯৭-৯৮/২০১৪/৩০৪ সুত্রে জানা যায়, এই যাত্রী ছাউনি দোকানঘরের জন্য উপজেলার সাহাপুর মাইনুল ইসলামকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১০ হাজার টাকা জামানত ও মাসিক ৮’শ টাকা চুক্তিতে এটি বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
তবে জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী বকু জানান, মান্দা ফেরিঘাটের যাত্রী ছাউনিটি অবৈধভাবে দখল করে বাসের কাউন্টার বানানো হয়েছে। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতেই যাত্রী ছাউনির একাংশ লীজ দেয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের উঠাবসার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।

এদিকে ফেরিঘাটের একমাত্র যাত্রী ছাউনিটি লিজ দেয়ার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাসহ যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদসহ নিয়মিত যাত্রী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু-লোহেল-আল মামুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ডের একমাত্র যাত্রী ছাউনিটি এভাবে লিজ দেয়া সঠিক হয় নি। জেলা পরিষদের এ হঠকারী সিদ্ধান্তে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তারা। সেই সঙ্গে লিজটি বাতিলেরও দাবি জানানো হয়।

(বিএম/জেএ/জুলাই ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test