E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাবার বিয়ে ঠেকাতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী হামলার শিকার

২০১৯ মে ০৬ ১৭:১৮:৫৩
বাবার বিয়ে ঠেকাতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী হামলার শিকার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বাবার বিয়ে ঠেকাতে এসে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুক্তিযোদ্ধার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কন্যার ৬ সহপাঠী স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনায় পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা সহ চার স্থানীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ আজাদ (৭০) র স্ত্রী নাজমুননাহার (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ শয্যাসায়ী রয়েছেন। তাকে দেখাশোনা করে আসছেন স্বামী আব্দুস সামাদ আজাদ।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্য ও নাট্য তত্ত্ব অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ওই মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রিশা আইরিন জানতে পারেন তারা বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করছেন। এতে বাবার বিয়ে ঠেকাতে রোববার সন্ধ্যায় ৬ সহপাঠী সহ রিশা তাদের সবুজপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন ।
সন্ধ্যায় এক পর্যায়ে বিয়ের বিষয়টি নিয়ে বাবার সাথে মেয়ের বাক-বিতন্ডা হয় এবং রিশার সহপাঠীরা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ আজাদ কে লাঞ্চিত করেন।

এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়রা ও মুক্তিযোদ্ধার আত্মীয় স্বজন রিশার সহপাঠী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও গাজীপুর এলাকা মাহবুবুল হকের ছেলে রকিবুল হাসান (২৮), বগুড়ার সান্তাহারের জালাল উদ্দিনের ছেলে আরিফ মেহেদী (২৫), ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার স্বপন মাহফুজের ছেলে রেদোয়ান মাহফুজ (২৬), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাট্য ও নাট্য তত্ত্ব অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ঢাকা গাজীপুর এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে ক্যামেলিয়া চুঁড়া (২২), ঢাকার ১০ নং মিরপুর এলাকার কমল বড়–য়ার ছেলে দিপংকর বড়ুয়া দিপ্ত (২৮) ও তাড়াশের সবুজপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রিশা আইরিনের (২২) ওপর লাঠি, সোটা নিয়ে হামলা করেন । এতে তারা আহত হন। স্থানীয়ভাবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনাটি তারা তাদের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেন। এবং তাদের নিজস্ব গ্রুপে তা ভাইরাল হয়ে যায় । বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসলে রবিবার রাত দুইটার দিকে তাড়াশ থানার ওসি একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জিম্মায় তাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

(এমএস/এসপি/মে ০৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test