E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে গৃহবধুকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ

২০১৪ জুলাই ২৬ ১৭:১১:৪৯
রায়পুরে গৃহবধুকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শাহানাজ বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধুকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শরিফ হোসেন নামে এক দুবাই প্রবাস ফেরত জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত ১১ টায় উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের হাজী আসলাম বেপারী বাড়িতে।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই রাতেই গৃহবধুকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করে এলাকার জামায়াত নেতাকর্মীরা। এ ঘটনা জানলেও রহস্যজনকারণে পুলিশ নিরবতা পালন করেন। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চাপাক্ষোভ ও চরম অসোন্তষ বিরাজ করছে।

শনিবার দুপুরে সরজমিনে ওই গ্রামে গেলে গ্রামবাসি জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে প্রভাবশালী জামায়াত কর্মী শরিফ হোসেন একই গ্রামের শাহানাজকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে পর পর তিনটি কন্য সন্তান জন্ম নেয়। এতে ছেলে সন্তান জন্ম না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ থাকেন শরিফ। এক সময় শরিফ দুবাই চলে যায়। স্বামীর মন রক্ষার্থে গৃহবধু শাহানাজ একটি ছেলে সন্তান দত্বক আনার পরেও শরিফের মন গলেনি। সে দুবাই থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করার হুমকি দিয়ে আসছিল।

প্রায় ১ মাস আগে শরিফ দুবাই থেকে বাড়িতে এসে বিয়ে করার জন্য শাহানাজের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। শুক্রবার বিকালে এনিয়ে শাহানাজ ও শরিফের মধ্য ঝগড়া হয়। একপর্যায় শাহানাজ অসুস্থ হয়ে পড়লে ওষুধের কথা বলে বিষপান করিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে দ্রুত মৃত শাহানাজকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার বিষপানে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানালে স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবুল বাসারসহ কয়েজন নেতা ঘটনাটি আড়াল করতে পুলিশকে ম্যানেজ করে দ্রুত হাসপাতাল থেকে মৃত শাহানাজকে বাড়িতে নিয়ে দাফন করে। এ ঘটনা রায়পুর ও হায়দরগঞ্জ ফাড়ি থানা পুলিশকে জানালেও তারা রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

এ বিষয় মৃত শাহানাজের ৭ম শ্রেণীর মেয়ে আয়শা আক্তার বলেন, মায়ের পেটের ব্যাথার জন্য ওষুধ খাইয়েছেন বলে বাবা তাদেরকে জানিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মা মারা জান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফ হোসেনকে বাড়িতে না পেয়ে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেনি। তবে তার পক্ষে এলাকার কয়েকজন জামায়াত নেতা শরিফ নির্দোষ বলে দাবি করে সাংবাদিকের রির্পোট না করার জন্য অনুরোধ করেন।

এ বিষয় জেলা পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ শাফিউর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, এঘটনা তার জানা নেই। পুলিশ পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(এমআরএস/জেএ/জুলাই ২৬, ২০১৪)






পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test