E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন 

২০১৯ অক্টোবর ২২ ২৩:৩১:৫০
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন 

চাঁদপুর প্রতিনিধি : স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে চাঁদপুর আদালত। শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় স্ত্রী সালমা বেগমকে (৩৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী গফুর মিজিকে এই কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় প্রদান করেন।

হত্যার শিকার সালমা বেগম চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের মৃত খালেক বেপারির মেয়ে এবং দন্ডপ্রাপ্ত গফুর মিজি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর এলাকার চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মৃত রহমান মিজির ছেলে। সে পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (১৯) বোনের বাসায় আসেন। রাতের খাবার শেষে সাইফুল পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে ঘরে আসেন গফুর মিজি।

তখন স্ত্রী সালমা বেগম তাকে বলেন, আপনি রাতে দেরি করে আসেন কেন? এত রাতে বাইরে কী করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরদিন ২১ অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে এবং গলাতে ফাঁসের চিহ্ন। তাৎক্ষণিক সে চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সেই আলোকে সালমার মা রহিমা বেগম (৫৫) একই বছরের ১ জুলাই গফুর মিজিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ আসামি গফুর মিজিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম সরকার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ বলেন, মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাইফুল ইসলাম শেখ।

(এ/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test