E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দীঘির মাছ লুটের অভিযোগ

২০১৯ নভেম্বর ০৭ ১৭:১৮:১৮
মান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দীঘির মাছ লুটের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে দেবোত্তর সম্পত্তির একটি দীঘি থেকে অন্তত সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী। 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের চেরাগপুর মৌজার কালিমাতা মন্ডপের সম্পত্তিতে প্রায় ৮ একরের একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টি লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন কুসুম্বা ইউনিয়নের চককানু গ্রামের আফতাফ হোসেনের ছেলে আহসান উল্লাহ হাসান। মঙ্গলবার গভীর রাতে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের হুকুমে তার ক্যাডার বাহিনী ওই দীঘি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাড়ে ৪ লাখ টাকা মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী আহসান উল্লাহ হাসান গনমাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যান সুমনের হুকুমে নিয়ামতপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মছির উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম, চেরাগপুর গ্রামের মাসুদ রানা, শামসুল আলম, আকবর আলীসহ ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি বাহিনী গভীর রাতে ওই দীঘিতে জাল নামিয়ে মাছ লুট করতে থাকে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমি মান্দা থানা পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও কোন পদক্ষেপ না নিয়ে আমাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী তিনটি পিকআপ ভ্যানে বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত: সাড়ে ৪ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন জানান, যারা দীঘিটি লীজ নিয়েছে বলে দাবী করছে বা যাদের বিরুদ্ধে মাছ মারার অভিযোগ করা হয়েছে, তারা কেউ আমার লোক নয়। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, পুকুরটি দেবোত্তর সম্পদ। ওই পুকুর নিয়ে মামলা মোকর্দমা থাকার কারনে লীজ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা মাছ ছাড়ে এবং তারাই মেরে খায়। পুকুরটি দখলে নেয়ার জন্য যেন সকলেই মরিয়া।

মান্দার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জনকন্ঠকে জানান, বুধবার অভিযোগটি পাওয়ার পরই সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test