E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে ১৪৭ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশ

২০২০ মার্চ ১৯ ১৪:৩১:৫৫
রায়পুরে ১৪৭ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিদেশ থেকে আসা ১৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও সাবরীন চৌধুরী জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা একটি কমিটি করে প্রতিদিন তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলে জানান ইউএনও।

এ সময় সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন পৌর মেয়র ইসমাইল খোকন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আখতার জাহান সাথী, ওসি তোতা মিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন প্রমুখ।

তিনি জানান, গত ১১ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউপির প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসীরা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। তারা হলেন উত্তর চর আবাবিল ১১ জন, উত্তর চরবংশী ৫, চর মোহনা ১৫, সোনাপুর ১৫, চরপাতা ১৩, কেরোয়া ৩৫, বামনী ২৭, দক্ষিণ চরবংশী ২, দক্ষিণ চর আবাবিল ১৮ ও রায়পুর ইউনিয়নে ৬ জন। ১০ ইউপির ১৪৭ জনকে তাদের নিজ নিজ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা কেউ-ই করোনা আক্রান্ত নয়। কারোর শরীরে করোনার কোনো উপসর্গও পাওয়া যায়নি। তবে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার কথা বলা হচ্ছে। এদিকে রায়পুর উপজেলায় দিন দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকার সংখ্যা বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, আগে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকা না পাওয়ায় তাদের খুঁজে পেতে সমস্যা হতো। এখন পুলিশের বিশেষ শাখা এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কার্যালয় থেকে প্রতিদিন বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকা পাচ্ছেন। সেই তালিকা প্রতিটি উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ের মাঠ কর্মীরা বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান ডা. জাকির হোসেন।

ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, রায়পুরে ১৪৭ জন প্রবাসী দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে পেরেছি। তারা নিজেরাও সতর্ক এবং সচেতন। সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে সরকারিভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রবাসী এই নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(পিআর/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test