E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশ্রয় কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ, ৪৩ পয়েন্টে বেড়িবাধ ঝুাকপূর্ণ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি, উত্তাল নদ-নদী

২০২০ মে ২০ ১৪:২৯:৪৭
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি, উত্তাল নদ-নদী

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকে থেমে থেকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সুন্দরবন উপকুল সংলগ্ন নদ-নদী। জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। যত সময় বেশী হচ্ছে ততই তীব্রতর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। তোলা হয়েছে লাল ফ্লাগ। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ করছেন ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। ১০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত সাতক্ষীরার ১৪৫টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে দু’ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে খাকা মানুষজনকে শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।

উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের ৫৫ হাজার মানুষের মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে নদী পার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বাকী মানুষ স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্কুল ও মসজিদসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিয়ে আতংকে আছে উপকূলের মানুষ। শ্যামনগর ও আশাশুনির অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যা ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ডাম্পিং করে মেরামতে করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

তবে স্থানীয়রা জানান, আইলার পর থেকে শ্যামনগর ও আশাশুনির বেড়িবাঁধগুলোর অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। যথাযথভাবে ওইসব বাঁধগুলো সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অমাবস্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির সাথে ঝড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি ও সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি খামার।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, জেলার উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গামছা দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

(আরকে/এসপি/মে ২০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test