E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দায়িত্বে অবহেলা : রাউজান পৌর মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

২০২০ মে ৩০ ১৮:২৯:৫৬
দায়িত্বে অবহেলা : রাউজান পৌর মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও সরকারি দায়িত্বের প্রতি অবহেলা সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিতকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (পৌর-১ শাখা) এর উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়। গত ২০ মে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিতের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও সরকারি দায়িত্বের প্রতি অবহেলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ 'জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম' এর তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালে রাউজান পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসীর কোন খোঁজখবর নেন নি দেবাশীষ পালিত। বন্যা সহ এলাকার বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহুর্তে কোন সময় তার কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি। গতবছর ডেঙ্গু মশার প্রকোপের সময় পৌরসভার জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ফগার মেশিনের টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সভায়ও উপস্থিত হন না মেয়র।

সরকারি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত বিদেশ সফরও করেন তিনি। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ফলে পৌর এলাকার জনসাধারণের পোহাতে হয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

সর্বশেষ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার নিষ্ক্রিয়তা হতাশ করেছে পৌর এলাকার জনসাধারণকে। পৌরসভার টেন্ডার সহ যাবতীয় প্রকল্পে মেয়রের একছত্র আধিপত্য রয়েছে। মাসিক বেতন, গাড়ীর তেল খরচ সহ যাবতীয় সকল প্রশাসনিক সুযোগসুবিধা ভোগ করলেও মেয়রের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ রাউজান পৌরবাসী।

গত ২৬ এপ্রিল রাউজান পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের ৯ জন কাউন্সিলর ও ৩ জন মহিলা কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাউজান পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী এক ব্যক্তি বলেন, "পৌরসভার নির্বাচনে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করলেও মেয়রের কোন সেবা আমরা পাই নি। জরুরী বিভিন্ন কাজে মেয়রের সাক্ষরের প্রয়োজন হলে ছুঁটে যেতে হয় তার চট্টগ্রাম শহরের বাসায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। নির্বাচিত হওয়ার পর একদিনও অফিস করেননি তিনি। বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহুর্তেও এলাকাবাসীর খোঁজ নেন না মেয়র।"

(ওএস/এসপি/মে ৩০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test