E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীর হাত ভেঙে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী

২০২০ জুন ১০ ২৩:০১:১৬
স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীর হাত ভেঙে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : স্ত্রীকে কু’প্রস্তাব দেওয়ায় এক শ্রমিকের হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে থানায় অভিযোগ দিয়ে বিচার না পাওয়ায় হুমকিতে রয়েছেন সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ভোমরা গ্রামের আজিজুল ইসলামের পরিবার।

ভোমার গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী তফুরা খাতুন জানান, গত ২৮ মে বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে বিজিবি’র সোর্স পরিচয়দানকারি এবাদুল ইসলাম তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় সে ক্লোবসিগ্যাল গেট খুলতে বলে। গেট না খোলায় টানা হেঁচড়ার এক পর্যায়ে সে দু’ হাজার টাকার বিনিময়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে যায়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তাকে সতর্ক করা হয়।

একপর্যায়ে তিনি গালিগালাজ করলে সে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তার স্বামী দাতভাঙা বিল থেকে বাড়ি এলে তাকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। আরিজুল বাড়ি থেকে বের হয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে বেড়িবাঁধে এবাদুলকে দেখে ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ এবাদুক্তার স্বামীর বাম হাতের দু’টি আঙুল মুচড়ে ভেঙে দেন। এতে ফেটে যায় তার হাতের তালু।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে তিনি চিকিৎসা নিয়ে ভাই ইউপি সদস্য সাজ্জাদুলের কথা মত থানায় অভিযোগ করেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে না পেয়ে উপপরিদর্শক মানিক সাহার কাছে তিনি অভিযোগপত্র দিয়ে চলে যান। মানিকসাহা বিষয়টি নিয়ে তিনি মীমাংসা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। গত ১৪ দিনেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবাদুল তার স্বামীকে বারবার হুমকি দিচ্ছে।

সীমান্তবর্তী ভোমরা গ্রামের শহীদুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন ও লাল্টু জানান, এবাদুলের বিরুদ্ধে বিজিবি’র সোর্স পরিচয়ে মাদক পাচার, পাখি পাচার, ধুড় পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া গত ১৬ জানুয়ারি ভোমরার বাবু মার্কেটে এক ভাড়াটিয়ার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় এবাদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, নেশা করে কয়েকদিন আগে আজিজুলের সঙ্গে একটু মারামারি হয়েছিল। স্থানীয়,মেম্বরের মাধ্যমে তা মীমাংসা হয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মানিক সাহার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোন দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত পাওয়া যায়।

(আরকে/এসপি/জুন ১০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test