E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাস্তায় অবৈধ বাঁশের বেড়া, বাধা দেয়ায় অতর্কিত হামলা

২০২০ জুলাই ০৪ ২২:০১:৪১
রাস্তায় অবৈধ বাঁশের বেড়া, বাধা দেয়ায় অতর্কিত হামলা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : অবৈধ বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এবং সেখানে বাধা প্রদান করায় এক বৃদ্ধাসহ(বন বিবি) তার নাতি(মােঃ ওমর ফারুফ) এর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। পরবর্তীকালে তাদের সিংগাইর ঘোনাপাড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও বন বিবির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে আহত মােঃ ওমর ফারুফকে সিংগাইর ঘােনাপাড়া সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করানো হয়।

বৃদ্ধার ছেলে মােঃ মুক্তার হােসেন(৪৮) অভিযোগ করে বলেন, মােঃ রফিকুল মাষ্টার, মােঃ শহিদুল, মহিদুল, মােঃ মিঠু উদ্দিন, মােঃ মিঠ উদ্দিন, ইলা আক্তার, আরিফা ও রহিমা বেগম আমার আত্মীয়-স্বজন। তাদের বাড়ির পেছনে আমার বসত বাড়ি। প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় মেম্বারগণ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের জমি থেকে কিছু অংশ ওদের দিয়ে তাদের জমির উপর দিয়ে আমাদের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেয়। ঐ রাস্তা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লােকজন চলাচল করি। তবে গত ৩০ জুন(মঙ্গলবার) আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উক্ত ব্যক্তিবর্গসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন আমাদের চলাচলের রাস্তার উপর দিয়া বাঁশের বেড়া দিতে যায়। তখন আমার মা বন বিবি(৬৫) তাদের বাধা দিলে তারা আমার মাকে এলােপাথারিভাবে মারে। মােঃ মিঠ উদ্দিন(৫৫) এর হুকুমে মােঃ রফিকুল মাষ্টারের হাতে থাকা লােহার শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মায়ের মাথা লক্ষ্য করে আঘাতের চেষ্টা করে। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার মায়ের বাম হাতের পাখনায় লেগে তিনি গুরুতর জখম হন। আমার মাকে বাঁচানাের জন্য আমার ছেলে মােঃ ওমর ফারুফ(২৭) এগিয়ে গেলে মােঃ শহিদুল ও মহিদুল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। ইলা আক্তার, আরিফা ও রহিমা বেগম আমার মাকে কিল-ঘুষি ও চর থাপ্পড় মারে। মােঃ শহিদুল আমার ছেলের পকেটে থাকা অনুমানিক ৭,২০০টাকা জোর করে কেড়ে নেয়। আমার মা ও ছেলের চিৎকার শুনে আশে পাশের লােকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।'

এই পরিস্থিতিতে তারা পারিবারিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুবিচার প্রত্যাশা করেন প্রশাসনের নিকট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

(ওএস/পি/৪ জুলাই, ২০২০ ইং)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test