E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

করোনায় ১০ ঘন্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু

২০২০ জুলাই ১১ ২৩:৫০:১১
করোনায় ১০ ঘন্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার শালবাড়ীয়া গ্রামে করোনা আক্রান্ত পিতা পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী (৬০) শনিবার সকালে মৃত্যুর ১০ ঘন্টা পর বিকালে বড় ছেলে ভ্যাকসিনেটন (স্বাস্থ্যকর্মী) খানজাহান আলী বাদশা (২৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন। করোনা আক্রান্ত পিতা পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ও ছোট ছেলে ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সামর্থ আলী (২৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি।  

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির ফকিরহাট উপজেলায় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী ও তার বড় ছেলে ভ্যাকসিনেটন (স্বাস্থ্যকর্মী) খানজাহান আলী বাদশা মাত্র ১০ ঘন্টার ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহের পর গত মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, দুই ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশা ও স্বাস্থ্যকর্মী সামর্থ আলী করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, বড় ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী মৃত্যু হয়। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুরে ইয়াদ আলীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ইয়াদ আলী মৃত্যুর মাত্র ১০ ঘন্টা পর বড় ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশাও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যায়। এনিয়ে ফকিরহাট উপজেলায় তিনজনসহ বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জনর মারা গেলেন।

এদিকে বাগেরহাট জেলায় নতুন করে আরো ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৩ জনে। এর মধ্যে ১৯০ জন সুস্থ্য ও অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন আক্রান্ত ৯ জনের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ১১, ২০২০)


বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির ফকিরহাট উপজেলায় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী ও তার বড় ছেলে ভ্যাকসিনেটন (স্বাস্থ্যকর্মী) খানজাহান আলী বাদশা মাত্র ১০ ঘন্টার ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহের পর গত মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, দুই ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশা ও স্বাস্থ্যকর্মী সামর্থ আলী করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, বড় ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী মৃত্যু হয়। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুরে ইয়াদ আলীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ইয়াদ আলী মৃত্যুর মাত্র ১০ ঘন্টা পর বড় ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশাও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যায়। এনিয়ে ফকিরহাট উপজেলায় তিনজনসহ বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জনর মারা গেলেন। এদিকে বাগেরহাট জেলায় নতুন করে আরো ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৩ জনে। এর মধ্যে ১৯০ জন সুস্থ্য ও অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন আক্রান্ত ৯ জনের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শেখ আহসানুল করিমবাগেরহাট১১. ০৭. ২০২০মোবাইল - ০১৭১১-১৩৭২১২

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test