E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরা জজকোর্টের দূর্ণীতিবাজ পিপি এড. আব্দুল লতিফকে অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ 

২০২০ সেপ্টেম্বর ২৭ ২০:৫৮:৪৭
সাতক্ষীরা জজকোর্টের দূর্ণীতিবাজ পিপি এড. আব্দুল লতিফকে অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ 

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জজকোর্টের  পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এড. আব্দুল লতিফের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় জজকোর্টের সামনে শহীদ মিনারের পাদদেশে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং সাবেক অতিরিক্ত পিপি এড. আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এড. জেড আই আব্দুল্লাহ আল মামুন, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. আবু রায়হান , এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালের ১২ ফ্রেব্র“য়ারি এড. আব্দুল লতিফ একজন সাংসদকে ম্যানেজ করেই সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে আসামেিদর জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ দূর্ণীতি শুরু হয়। তিনি অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিযোগে সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণির বহিস্কৃত অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. জিল্লুর রহমানকে (২) পুরষ্কার স্বরুপ অতিরিক্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ ছাড়া অ্যাড. ওসমান গণি পিপি থাকাকালীন সহকারি পিপি আশাশুনির মিজানুর রহমানকে চট্ট্রগ্রামে ছাত্র শিবির করার দায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়। অথচ সেই মিজানুর রহমানকে পিপি অ্যাড. লতিফ সহকারি পিপি বানিয়েছেন আর্থিক সুবিধা নিয়ে। অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও অ্যাড. সায়েদুজ্জামানসহ কয়েকজনকে পিপি শিপ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আব্দুল লতিফ তাদের নাম নতুন তালিকায় আনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করার জন্য মাথাপিছু এক লাখ টাকা করে দাবি করেন। পরে ১৫ জনের কাছ থেকে মাথা পিছু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে নিয়ে করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করেছেন। পরে কাজও হবে না এবং টাকাও ফেরৎ পাবে না বলে হেঁকে দেন।

বক্তারা শেখ আজাহারুল ইসলাম, অ্যাড. ওসমান গণিসহ কয়েকজনের আইনমন্ত্রালয় ও ঢাকা বার কাউন্সিলে পাঠানো অভিযোগ ও কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের বরাত দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কামারবায়সা গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ। পৈতৃকসূত্রে সূত্রে তিন বিঘা জমি পেলেও অবৈধপথে আটক ভারতীয় শাড়ির একাংশ ক্যাম্পে জমা না দিয়ে বিক্রি করে টাকা পকেটস্ত করার অভিযোগে তাকে বিডিআরের চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বাড়ি থেকে চোরাই টেলিভিশন উদ্ধার হওয়ায় ১৯৯১ সালের ১৮ এপ্রিল কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বাদি হয়ে আব্দুল লতিফসহ সাতজনের নামে মামলা (জিআর-৭৭/৯১) দায়ের করেন। ওই বছরের ১৬ অক্টোবর পুলিশ আব্দুল লতিফের নামে আদালতে অভিাযোগপত্র দাখিল ( সিএস নং-২০২) করেন।

ভুয়া দাতা সাজিয়ে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মোজাম্মেল সরদারের ছেলে সোহরাব সরদার বাদি হয়ে আব্দুল লতিফসহ পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা (সিআরপি-১১৪/০৩) করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ঘটনা সত্য মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০০৩ সালের জুলাই মাসে ভূয়া দাতা সাজিয়ে শহরের খোরশেদ আলীর ছেলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের চা ব্রিক্রেতা ইলিয়াস আলীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাশেমপুর মৌজায় দু’ শতক জমি কিনে দেন আব্দুল লতিফ। পাওনা টাকার জন্য আইনজীবী সমিতিতে ২০০৩ সালের ১০ আগষ্ট আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার হিসাব নম্বরে ৫৫ হাজার টাকার চেক দেন আব্দুল লতিফ। পিঠ বাচাতে ২০০৫ সালের ১১ মার্চ এক এফিডেফিডের (৫০২নং) মাধ্যমে চেক প্রত্যাহার করে হ্যাণ্ড নোট দেন তিনি।

কাশেমপুরের রড ও সিমেন্ট ব্যবসায়ি মাহাবুবর রহমাননের কাছ থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা মাল বাকি নিয়ে আলা আরাফা ইসলামী ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার একটি চেক দেন আব্দুল লতিফ। হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় প্রতিবাদ করায় ওই ব্যবসায়ি মারপিট করেন আব্দুল লতিফকে। এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম কোন ব্যবস্থা নেননি মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে।

২০০৪ সালে কলারোয়ার কেড়াগাছি এলাকার মাষ্টার আতিয়ার রহমানের ছেলে রিপনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নাম করে জমি বিক্রি করিয়ে আব্দুল লতিফ ও আড়ৎদার আব্দুর রহমান এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা নেন। বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হলে আতিয়ার রহমান কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হন।

কালীগঞ্জের একটি হত্যা মামলায় (সেশন-৪২/৯০) ২০১০ সালের ১৭ আগষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফউদ্দিন আজাদ ছয় আসামীর মধ্যে মতিয়ার রহমান, আলাউদ্দিন ও কাশেমকে জেল হাজতে নেন। এ সময় ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি’র দায়িত্বে থাকা অ্যাড. আব্দুল লতিফ থানা হাজতে ওই আসামীদের সঙ্গে দেখা করে বিচারককে ঘুষ দিয়ে খালাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের আত্মীয় মুনসুর আলীর কাছ থেকে কামারবায়সার বাড়িতে বসে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল ১০ লাখ টাকা চেয়ে নয় লাখ টাকায় চুক্তি করেন।

সে অনুযায়ী মুনসুর আলীর কাছ থেকে ২১ আগষ্ট কামারবায়সার বাড়িতে বসে নগদ চার লাখ ২০ হাজার ও ২২ আগষ্ট সাতক্ষীরার বাসায় বসে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন আব্দুল লতিফ। ২৩ আগষ্ট তিন আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইলে বিচারকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিতে বলেন আব্দুল লতিফ। এ নিয়ে ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর মুনসুর আলী অভিযোগ করলে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় সাধারন সম্পাদকের কার্যালয়ে তদন্তকালে আব্দুল লতিফের সঙ্গে আট লাখ ৭০ হাজার টাকা ঘুষ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বার্তার সিডি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। এরপরও টাকা ফেরৎ পাননি ওই বিচারপ্রার্থীরা।

এ ছাড়া ২০০২ সালে কেড়াগাছি গ্রামের মাষ্টার আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে তার বালিয়াডাঙা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক লাখ টাকা সাতক্ষীরা শহরের ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা দেওয়ার নাম করে জমা দেওয়ার ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন আব্দুল লতিফ। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার নামা দিলেও আজো টাকা ফেরৎ পাননি ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মামলা করলে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় আদালতে মামলাও করেননি তিনি।

২০০৬ সালে এক মোয়াক্কেলের কাছ থেকে জামিন করানোর জন্য ২০ হাজার টাকা নেন আব্দুল লতিফ। জামিন করাতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরৎ চাইলে তাকে হেঁকে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই মোয়াক্কেল অভিযোগ করলে তৎকালিন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুর রহিম তদন্ত করে ঘটা সত্য বলে আবেদনকারির পক্ষে প্রতিবেদন দিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন।

২০০০ সালে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার পর থেকে আব্দুল লতিফ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কমাণ্ডিং অফিসার অধিনায়ক এনায়েত করিমসহ কয়েকজনের উপর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের (বিডিআরের অতিরিক্ত আইজি) দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধপথে জেলার সীমান্ত জুড়ে ১৬ পি পয়েন্ট দিয়ে ১৪টি খাটালে গরু আনার জন্য প্রতিদিন পাঁচ হাজরের বেশি রাখাল বেশি গরীব মানুষকে ভারতে পাঠিয়ে ভারতীয় গরু এদেশে আনার মাধ্যমে দালাল হিসেবে কয়েক বছরে ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন আব্দুল লতিফ। তার এ পরিকল্পনায় গরু আনতে ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ এর হাতে জীবন হারালেও মুখ খুলতে সাহস পায়নি ওইসব নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

করিডোর খরচের ৫০০ টাকা ছাড়াও গরু প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত চাঁদার টাকা আদায় করে তার মোটা অংশের টাকা নিজের পকেটস্ত করতে ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচিত জাতীয় সংসদের ছেলে তানজিন আহম্মেদ, সাংবাদিক রাম ঠাকুরসহ আট সদস্যের কমিটি গঠন করেন আব্দুল লতিফ। ২০১০ সালে তিনি উত্তরা সি ব্লকে কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাট কিনেছেন। ২০১৪ সালে তিনি সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর মৌজায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আট কাঠা জমি কিনেছেন। এক মাস আগে ওই জমিতে তিনি পাঁচতলা বিশিষ্ঠ ভবন নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়াও তার নিজ গ্রাম কামারবায়সায় কিনেছেন কয়েক বিঘা জমি। ঢাকা ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ সাতক্ষীরা ও ঢাকার কয়েকটি ব্যাংকে স্বনামে ও বেনামে কয়েক কোটি টাকাসহ বর্তমানে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান ৫০ কোটি টাকারও বেশি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ২০১৪ সালে তিনি স্বস্ত্রীক হ্জব্রত পালন করেছেন।

বিডিআরের চাকুরি করাকালিন কিভাবে লতিফ আইনজীবীর সার্টিফিকেট যোগাড় করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর প্রাণসায়ের সুলতানপুর শাখায় ডাকাতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হিসেবে ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের ক্লোজ করে চারজনের সাক্ষী নিয়ে আসামীদের খালাস করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে মোটা অংকের টাকা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সদরের কুশখালির রেবেকা খাতুনের আপোষ তালাকের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে বড় অংশ আত্মসাতের অভিযোগে মধ্যস্ততাকারি লতিফের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি সিআরপি ২০৯/১৫ নং মামলা করেন রেবেকা।
দক্ষিণ কামারবায়সার গাজা মামলার আসামী মোজাম সরদারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে কয়েক তিনের জামিন করিয়ে ৬৫ হাজার টাকা লুফে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । এ ঘটনায় মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিবুল্লাহ বাাদি হয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন। ওই মামলার আসামী মোজামের জামিনের বিরোধিতা করায় অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমানকে আদালতের বারান্দায় লাঞ্ছিত করেন আব্দুল লতিফ। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা(জিআর- ২৯২/১৬ সদর) করেন।

যশোরের কেশবপুর থানার ভেরচা গ্রামের জাহিদুর রহমানকে তালা থানার চল্লিশা ও বারাত বিলের ঘের দখল করিয়ে দেওয়ার নামে লতিফ ১১ লাখ টাকা নেন। দখল করিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে তিন লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেও বাকী টাকা না দেওয়ায় পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন জাহিদুর রহমান। চলতি বছরের প্রথম দিকে ঘোনা ফুটবল মাঠে মাহফিলে বগুড়ার এক হুজুর রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যে দেওয়ার কারণে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন। তাকে ছাড়াতে পুলিশ সুপারের নাম করে দেড় লাখ নগদ ও দেড় লাখ টাকার চেক নেওয়ার অপরাধে আব্দুল লতিফ পুলিশ সুপারের কাছে লাঞ্ছিত হন। যা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়।

গত বছরের ১৮ জুলাই কামারবায়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠণ নিয়ে বিরোধের ঘটনায় লতিফ ও তার ছেলে রাসেল এর সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হন লতিফের কড় ভাই আহাদ, তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে তোফাজ্জল ও মুস্তাফিজ। পরে গ্রামবাসির ধাওয়া খেয়ে লতিফ ও রাসেল ভোঁ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।

২০০০-২০০১ অর্থবছর থেকে ২০১৩ -১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ব্যক্তি কর হিসেবে আব্দুল লতিফ এক হাজার ২৫০ টাকা করে আয়কর দিয়েছেন। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এসে তিনি করমুক্ত পেল্ট্রি ফার্ম থেকে ৭৭ লাখ টাকা আয় দেখিয়ে ফাইল জমা দিয়েছেন। একপর্যায়ে তিনি প্রতি বছর এক হাজার ২৫০ টাকা ব্যক্তিগত আয়কর দেওয়ার সমগ্র তথ্য হিমাগারে পাঠিয়ে দিলেও লেজার বইতে তার সাক্ষ্য বহন করছে।

এ ব্যাপারে রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এ্যডভোকেট আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, এ্যাড. আজাহার হোসেনসহ ৫/৬ জন ব্যক্তি আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এহেন কাজ করেছে। নেপথ্যে সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট ওসমান গনিসহ কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধন আছে। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছি। ইতিমধ্যে ১৩৬ টি গুরুত্বপূর্ন মামলার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদকে শক্তিশালী করেছি। বারের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করেছি। আমার এসব ভালো কাজ মিথ্যা প্রতিবাদ সমাবেশ করা ব্যক্তিরা সহ্য করতে পারছে না। তারা জামায়াতের নাশকতাকারীদের পৃষ্টপোশকাতা করে আসছে। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বারের আইনজীবীদের নিয়ে সোমবার সকালে এ নিয়ে একটি কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test