E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাজিরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২০১৪ আগস্ট ১৮ ১৬:৩৩:৪৪
নাজিরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরের  হাজী আব্দুল গনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে কয়েক গুণ অর্থ আদায়, গত ৪ বছর ম্যানেজিং কমিটির জোগ সাজসে উপবৃত্তির  টাকা বাবদ বিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র টাকা আত্মসাত, এবং বিদ্যালয়ের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকার সুযোগে  শিক্ষার্থীদের  অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নকলের সুযোগ করে দেন।

গত রবিবার বিদ্যালয় সরকারি ছুটি থাকার পরও ওই দিন উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের জন্য তা প্রদানের আয়োজন করেন। এসব অভিযোগের বিষয় জানতে ওই দিন বিদ্যালয়ে গেলে গেটেই পাওয়া বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ৩৩ রোল নম্বরের রুমকি খানম নামের এক ছাত্রীকে। সে জানায় তাদের কাছ থেকে জেএসসি পরীক্ষার ফরম পুরন বাবদ বোর্ড নির্ধারিত ফি ৯০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ১৫০ সহ ২৪০ টাকার স্থলে ৭৫০ টাকা করে নিচ্ছেন শিক্ষকরা । এ ছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানায়, ফরম পুরনের জন্য বাবা সুদে এনে ৭৫০ টাকা দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষককে অনেক অনুরোধ করলেও কম নেন নি। ভীতরে ডুকলে একই শ্রেনীর ১১ রোল নম্বর ধারী মেহেদী হাসান জানায়, তাদের মধ্যে যারাই ফরম পুরনের জন্য টাকা দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৭৫০ টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৪ শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উপবৃত্তির খরচ বাবাদ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনী ৪০ টাকা ও অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেনীর ৫০ টাকা করে ২০ হাজার টাকার অধিক আদায় করা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক জানান, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহায়তায় বছরে প্রায় লক্ষাধীক টাকা করে গত ৪ বছরে উপবৃত্তির টিউশন ফি বাবদ দেয়া সরকারি প্রায় ৪ লাখ টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। গত রবিবার এ সব অভিযোগের বিষয় জানতে হাজী আব্দুল গনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার কুন্ডুর কক্ষে গেলে তিনি এসব বিষয়ে কোন তথ্য দিতে রাজি নন এবং বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের রেজ্যুলেশনের মাধ্যমেই অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন বলে দাবি করেন। এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের পরিচালানা পরিষদের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচীব মোস্তফা জামাল হায়দারের সাথে মোবইল ফোনে কথা হলে তিনি এ বারতি টাকা নেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মিলন জানান, উপবৃত্তির খরচ বাবদ এ টাকা নেয়ার কথা শুনে রবিবার থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
(এসএ/এএস/আগস্ট ১৮, ২০১৪)








পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test