E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভুয়া নিবন্ধন সনদে চাকরি করা ৫ শিক্ষক অবশেষে ধরা

২০২০ ডিসেম্বর ২২ ১৭:২৫:২৪
ভুয়া নিবন্ধন সনদে চাকরি করা ৫ শিক্ষক অবশেষে ধরা

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পাঁচ জন শিক্ষক ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরী করছেন । শুধু তাই নয়, এসব শিক্ষকরা সরকারী বেতন ভাতাও উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়ার শিক্ষকদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলায় অবস্থিত কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এনটিআরসি'র সনদপত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৬৯ জন শিক্ষককের সনদপত্র যাচাই- বাছাই করে ৫ জন সহকারী শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্র ভূয়া ও জাল বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সমলেশ কান্তি রায় ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ৬ষ্ঠ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরী নেন (যার রোল নং -৩২৩০৬৩৬৮)।

আমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আবু মোহাম্মদ মোল্যা ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ৪র্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভূয়া সনদ দিয়ে চাকুরী নেন (যার রোল নং-১১৪১০৭১০)। ব্রাক্ষনডাঙ্গা সম্মিলনী কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী মৌলভী শিক্ষক মোঃ বাসারুল ইসলাম ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ২য় ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভূয়া সনদ দিয়ে (যার রোল নং-৬১০৫০০২৬), একই মাদ্রাসার কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু জাবেদ ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ২য় ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভূয়া সনদ দিয়ে (যার রোল নং-৩১০৯০১৮৬) এবং জালালসী নওয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী মনিরুল ইসলাম ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ৪র্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরী নেন(যার রোল নং-১২১১০৭৯৩)। এসব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বেতন - ভাতাও উত্তোলন করেছেন। তবে অভিযুক্ত দু’জন শিক্ষক জানিয়েছেন, আমরা পরিস্থিতির শিকার । তবে তাদের শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ সঠিক বলে তারা দাবি করেন ।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূইয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে উক্ত পাঁচজন শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ভূয়া প্রতীয়মান হয়েছে । তাদের বিস্তারিত তথ্য চূড়ান্তভাবে যাচাইয়ের জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরন করা হয়েছে ।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ২২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test