E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া মেশিনের ভ্যাপোরাইজার গায়েব!

২০১৪ আগস্ট ২১ ১৯:৫৫:৩৭
মান্দায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া মেশিনের ভ্যাপোরাইজার গায়েব!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যানেসথেসিয়া মেশিনের ভ্যাপোরাইজার (গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ) গায়েব হয়ে গেছে? ব্যবহার হওয়ার আগেই ষ্টোর রুম থেকে যন্ত্রাংশটি অজ্ঞাত উপায়ে গায়েব করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যন্ত্রাংশটি চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ ও ২০১০ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যান্সেথেসিয়া মেশিন সরবরাহ করা হয়। এর একটি মেশিন অপারেশন থিয়েটারে ও অপরটি নতুন ভবনের ষ্টোররুমে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু ষ্টোররুমে থাকা মেশিনটি ব্যবহার শুরুর আগেই এর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ভ্যাপোরাইজার (রোগিকে অজ্ঞানের জন্য প্রয়োগকৃত ওষুধের মাত্রা নির্ণয়কারী যন্ত্র) গায়েব হয়ে গেছে। জানা গেছে, যন্ত্রাংশটির মূল্য ৫ লক্ষাধিক টাকা। ষ্টোরকিপারের দায়িত্বে থাকা আকবর হোসেনও এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হন নি। যন্ত্রটি চুরি যাওয়ার বিষয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে জানাজানি হলেও তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা দপ্তরে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে কোনো তদন্তেরও উদ্যোগ নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে, তোলপাল শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশটি বিষয়ে বলেন, ভ্যাপোরাইজার অ্যানেসথেসিয়া মেশিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। যন্ত্রটির সাহায্যে রোগিকে অজ্ঞানের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মাত্রা নির্ধারন করা হয়। এটি না থাকলে অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সম্পূর্ন অকার্যকর হয়ে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এটিএম মোকারম হোসেন যন্ত্রাংশটি গায়েব হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কবে কিভাবে যন্ত্রাংশটি চুরি গেছে, তা তিনি জানেন না। তিনি এ কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে এটি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে চুরির দায় তার নয় বলেও দাবি করেন তিনি। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। এব্যাপারে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তিনি চিঠি পেয়েছেন। অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। তবে সরকারী সম্পদ সরকারী কর্মকর্তাদের হেফাজত থেকে কিভাবে গায়েব হলো, বিষয়টি নিয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(বিএম/অ/আগস্ট ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test