E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

মৌলভীবাজার পৌর নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডেই নতুন মুখ

২০২১ জানুয়ারি ০৩ ১৭:৩৩:১৪
মৌলভীবাজার পৌর নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডেই নতুন মুখ

মো.আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয়ধাপে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে গত ৩১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নতুন-পুরাতন মিলে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৯ ওয়ার্ডে মোট ৩১ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত নারী আসনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন নতুন-পুরাতন মিলে মোট ১০ জন প্রার্থী। 

এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলরের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডেই রয়েছেন জনপ্রিয় অনেক নতুন মুখ। কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এসব নতুন প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের চায়ের দোকান কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় চলছে নানা আলোচনা। ভোটাররাও মিলাচ্ছেন নানা হিসেব নিকেশ।

অনেক ওয়ার্ডে একাধিকবার বিজয়ী কাউন্সিলর কিংবা একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ নতুন প্রার্থী। নতুন প্রার্থীদের অনেকেই ব্যবসায়ী, কেউবা সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে রয়েছেন যুক্ত, কেউবা রয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ হিসেবে। আর প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় বলতে গেলে অনেকেই বিএনপি-আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যায়।

মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডে ৪ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, পারভেজ আহমদ, এডভোকেট পার্থ সারথী পাল, শহীদ মিয়া, শাশ্বত ব্রহ্ম রনি ও মোঃ ওয়াহিদ। এই ৪ প্রার্থীর মধ্যে এবার নতুন মুখ ৩জন। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী পারিবারিক কারন দেখিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানান। যার কারনে এই ওয়ার্ডে এবার নতুন মূখ নির্বাচিত হবেন। ২নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ও জাতীয় শ্রমিকলীগের জেলা সভাপতি মোঃ আসাদ হোসেন মক্কু। এই ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মোঃ পিন্টু আহমদ। ২নং ওয়ার্ডে নতুন-পুরাতন মিলে দুই প্রার্থীর মধ্যেই হবে জমজমাট ভোটের লড়াই।

৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন রয়েছেন ভোটের মাঠে। পাশাপশি এই ওয়ার্ডে রায়েছেন নতুন মুখ হিসেবে মোঃ রাসেল আহমেদ ও মোঃ রুবেল আহমদ।

৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ও শহরের প্রবীণ মুরব্বি মনবীর রায় মঞ্জু এবারও নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন সক্রিয়ভাবে। আর নতুন মূখ হিসেবে এই ওয়ার্ডে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, মোঃ মতিউর রহমান মতিন,সালেহ আহমদ ও সুমেশ দাস যীষু।

৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ফয়ছল আহমদ রয়েছেন। নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তরুণ সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এবং ব্যবসায়ী দেলওয়ার হোসেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন, মোঃ আবুল কাশেম ও জায়েদ হোসেন।

৬নং ওর্য়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বর্তমান কাউন্সিলর জালাল আহমেদ এবারে নির্বাচনে অংশ নিলেও এই ওয়ার্ডে নতুন মূখ হিসেবে তরুণ দুই জনপ্রিয় মূখ হিসেবে রয়েছেন মোঃ শাহিন মিয়া ও শামীম আহমদ। ফলে এই ওয়ার্ডের নির্বাচনী লড়াইয়ে কে জয়ী হবে তা এই মুহুর্তে আঁচ করা কঠিন।

৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর আনিছুজ্জামান বায়েছ এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ওয়ার্ডে বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সারওয়ার মজুমদার ইমন এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর নতুন মুখ হিসেবে রয়েছেন, সৎ ও মার্জিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত তরুন ব্যবসায়ী মোঃ লাভলু আহমদ। অন্য দুই প্রার্থীরা হলেন, সাবেক কাউন্সিলর মরহুম হাজী জিল্লুর রহমান এর ভাতিজা তরুণ সমাজকর্মী মোঃ জাকির হোসেন রাজা ও সহিদুল ইসলাম।

৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আয়াছ আহমদ লন্ডন থাকায় এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না । তবে এই ওয়ার্ডে এবার নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ক্লিন ইমেজের তরুন সমাজকর্মী সাজ্জাদ আহমেদ শাহান। এর পাশাপাশি এই ওয়ার্ডে শক্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন রয়েছেন সৈয়দ সেলীম হক ও সৈয়দ মমসাদ আহমদ। এই দুই প্রার্থী এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়।

সবশেষ ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দুইজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর মোঃ মাসুদ। অন্য প্রার্থী হলেন সৈয়দ আবু ইকবাল। তবে এই প্রার্থী এর আগে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিলেও সুবিধা করতে পারেননি।

৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যবসায়ী মোঃ লাভলু আহমদ বলেন, আমি আগে কখনো নির্বাচনে অংশ নেইনি,এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আর ভোটাররাও এখন পরিবর্তন চাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে আমি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আমার ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবো। তিনি মনে করেন, নির্বাচন সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হলে তাঁর শতভাগ জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার (৩ জানুয়ারি) প্রার্থীদের যাচাই বাছাই শেষে চুড়ান্ত তালিকা পরবর্তীতে জানা যাবে। আর ১০ জানুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে প্রতীক বরাদ্ধ হবে ১১ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test